আরফাতুল মজিদ, কক্সবাজার
পর্যটনে শত কোটি টাকা অনিশ্চয়তা
মন্দা ঠেকাতে কক্সবাজারে ২০ হোটেলে আকর্ষণীয় অফার
কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে দালাল চক্র। চক্রটির সদস্যরা পর্যটকদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে নানা ভ্রান্ত ধারণা। এক শ্রেণীর মাদকাসক্ত, রিকসা, সিএনজি ও ইজিবাইক চালক ওই চক্রের সক্রিয় সদস্য। বাস-টার্মিনাল এলাকায় বাস থেকে নামার সময় পর্যটকদের নানাভাবে লাগেজ নিয়ে টানাটানিসহ প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে তারা। ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নিম্ন মানের হোটেল গুলোতে। আর এসব হোটেলগুলো অপরাধীদের আড্ডাস্থল হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে নানান কায়দায় লুট করা পর্যটকদের মূল্যবান মালামাল। যার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পর্যটন শিল্পে। কক্সবাজার বিমূখ হচ্ছে পর্যটকরা। এতে পর্যটন ব্যবসায় দেখা দিয়েছে চরম মন্দা।
ফলে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিনিয়োগকৃত শত শত কোটি টাকা অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ ২০ দফা দাবি উপস্থাপন ও ২০টি হোটেলে আকর্ষণীয় অফার ঘোষণা করেছেন ইতোমধ্যে।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, পর্যটক হয়রানি বন্ধ ও পর্যটন সেবা বৃদ্ধি করার লক্ষে একাধিক বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করা হয়। এতে প্রতিদিন প্রথম আগত বা বুকিং ১০টি রুমের ভাড়া ২০ টি হোটেলে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। হোটেল গুলো হলো-তাহের ভবন গেস্ট হাউস, ডায়মন্ড প্যালেস, আলব্রাট্রস রিসোর্ট, সী-আরাফাত রিসোর্ট, আর.এম গেস্ট হাউস, সী-ল্যান্ড গেস্ট হাউস, লেমিচ রিসোর্ট, জিয়া গেস্ট ইন, জিয়া গেস্ট হাউস, কক্স ইন, সোহাগ গেস্ট হাউস, বীচ হলিডে গেস্ট হাউস, বীচ হলিডে গেস্ট হাউস, ওয়েল পার্ক রিসোর্ট, কক্স ভিউ রিসোর্ট, সিলিকন শাকিরা বে রিসোর্ট, উর্মি গেস্ট হাউস, মাসকাট হলিডে রিসোর্ট, হোটেল বে-মেরিনা, গ্যালাক্সী রিসোর্ট ও সী-কিং গেস্ট হাউস। এ সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হতে আরো ২২টি হোটেল আবেদন করেছেন। হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কোম্পানী বলেন, পর্যটন শিল্পের জন্য বিনিয়োগকারীরা হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর বিনিয়োগ করছে কক্সবাজারে। কিন্তু একটি চক্র কৌশলে পর্যটন শিল্পো উন্নয়নে বাধা গ্রস্ত করে যাচ্ছে নিয়মিত। বিশেষ করে দালালদের মাধ্যমে অপবাদ ছড়িয়ে পড়ছে বেশি। বর্তমানে পর্যটন শিল্পে মন্দাভাব চলছে। তেমন কোনো আয় নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মূখীন হবে বিনিয়োগকারীরা।
"