আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
চার বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু
আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা খালের ওপর ঢালাই সেতুর ভেঙে পড়া একটি অংশ চার বছরেও সংস্কার হয়নি। দীর্ঘদিনেও সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়রা সেতুর ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে চলাচল করছেন। ভাঙা সেতু দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, লোহার কাঠামোর ওপর ঢালাই দিয়ে ২০০৭ সালে চাউলা খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। কিন্তু ২০১৩ সালে সেতুর কিছু অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। ওই অংশ আজও সংস্কার করা হয়নি। এ কারণে এলাকার অন্তত ১২ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। প্রতিদিন ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চাউলা বাজার ও চাউলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর ওই ভাঙা অংশের কাঠের পাটাতন নড়বড়ে। তা ছাড়া সেতুর একাংশ দেবে গেছে। আঠারগাছিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ফরিদা বেগম বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হতে হয়। কখন যে সেতু ভেঙে খালে পড়ে যাই সেই আতঙ্কে থাকি। চাউলা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. হালিম হাওলাদার জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আঠার গাছিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জালাল উদ্দিন বলেন, মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শিগগির সেতুটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরই উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু এখনো মেরামত করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়েছে। ওই পাটাতন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। অর্থ পাওয়া গেলে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
"