জুয়েল রানা লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ০৯ আগস্ট, ২০১৭

গ্রামের ১০ হাজার বাসিন্দা বিপাকে

সুবর্ণচরে এক সড়কের প্রায় ৯০ শতাংশই খালে বিলীন

ভুলুয়া নদীর জোয়ার-ভাটার পানির তোড়ে তিন বছর ধরে ভাঙছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের কাঞ্চন বাজার-ইমান আলীর বাজার সড়ক। এতে ইউনিয়নটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের (উত্তর বা¹া গ্রাম) প্রায় দশ হাজার বাসিন্দারা চলাচলে প্রতিনিয়ত সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই কিলোমিটার লম্বা সড়কটির চর পানাউল্লা এলাকার নুরুল ইসলাম মেম্বারের দোকানঘর নামকস্থান থেকে ইমান আলীর বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক পাশের ভেঙে পড়েছে। সড়কের কোনো কোনো স্থানে প্রায় ৯০ শতাংশই ভেঙে খালে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হেঁটে যাওয়ার সময়ও একটু অসাবধাণতায় খালে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবুল কালাম বলেন, কাঞ্চন বাজার-ইমান আলী বাজার সড়কটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনায় পড়েন পথচারী, স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও শিশুরা। তিন বছর ধরে সড়কটি ভাঙতে ভাঙতে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু সড়ক রক্ষার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ওয়ার্ডের প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা প্রতিনিয়ত সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এই সড়ক দিয়ে দক্ষিণ চরপানাউল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামেয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমাখানার কয়েকশ শিক্ষার্থী চলাচল করে। সড়ক ভেঙে যাওয়ার কারণে প্রায় ছাত্রছাত্রীরা দুর্ঘটনায় পতিত হন। সড়কের কারণে এলাকার গর্ভবতী নারীসহ অসুস্থ রোগীদেরদের চিকিৎসার হাসপাতালে নিতে খুবই কষ্টা হয়।

চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটি মূলত: পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি বেড়িবাঁধ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটির একাংশ পাকাও করা হয়েছিল। কিন্তু ভুলুয়া নদীর জোয়ার-ভাটার পানির তোড়ে সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেয়। তিনি বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রকল্প গৃহীত হয়নি।

স্থাণীয় চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, সড়কের ভাঙনের কারণে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। গ্রামে যাতায়াতের জন্য বিকল্প একটি সড়ক তৈরী করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ওই সড়ক দিয়ে ইউনিয়নের মূল সড়কে উঠতে অতিরিক্ত প্রায় তিন কিলোমিটার হাঁটতে হয়। তবে ভাঙন কবলিত সড়কটি ঠিক হলে দুর্ভোগ থাকবে না।

পাউবো, নোয়াখালীর নির্বাহী জহিরুল ইসলাম জানান, ভাঙন রোধ করে বাঁধ রক্ষা করতে গেলে অনেক টাকা লাগে। এই খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায় না। তাই ভাঙন কবলিত বাঁধের ভেতরের দিকে আরেকটি নতুন বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. তাসাউর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধের ওপর সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সড়কও ভাগনের মুখে পড়ে। সেখানকার নতুন করে সড়ক নির্মাণে একটি প্রস্তাব তৈরী করা হয়েছে। এ বিষয়ে জমির মালিকদের রাজি করানোর বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও বলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist