পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
নেই ঘর, নেই শিক্ষার্থী তবু শতভাগ উপস্থিতি!
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পল্লীতে বাস্তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী না থাকলেও কাগজে কলমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ দেখানো হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে দুই শিক্ষক বেতন-ভাতা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, ১৯৯০ সালে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নে শহিদুল ইসলামের দানকৃত ৫২ শতক জমি বাহিরবুনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ ২৭ বছরে গড়ে ওঠেনি কোনো ঘর। সম্প্রতি বাহিরবুনিয়ার একটি খালের ওপর কয়েকটি খুঁটি পুঁতে ওপরে টিনের ছাউনি দিয়ে রাখা হয়েছে। চালের নিচে ও খুঁটির চারিপাশে থৈ থৈ পানি। নেই কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান, নেই ছাত্রছাত্রীও। তবু প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২৫ বাই ১৮ ফুটের ৪টি শ্রেণিকক্ষ। শিক্ষক হিসেবে আছে ৫ জন : সুপার শহিদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, সাইয়েদুর রহমান, ওয়াজেদ আলী ও আনোয়ারা বেগম। এর মধ্যে সুপার শহিদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা খাতা কলমের যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে ২০, দ্বিতীয়তে ১৬, তৃতীয়তে ১৭, চতুর্থতে ১৭ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৪ জন ছাত্রছাত্রী দেখানো হয়েছে। যাদের উপস্থিতি শতভাগ। শিক্ষার্থী হাজিরা খাতায় একই ব্যক্তি হাজিরা উঠিয়েছে বলে দেখা যায়। খাতা কলমে সবকিছু ঠিকঠাক দেখিয়ে দুজন শিক্ষক ওয়াজেদ আলী গাজী ও আনোয়ারা বেগম সরকারি বেতনভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম গাজীসহ স্থানীয় অনেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
"