রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের গুয়াতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের প্রায় ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। এভাবে নিয়োগে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের মাঝে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো: সামছুল হক, এসএম সামছুল হক, জাহাঙ্গির আলম ও বাবলু সরদার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা, সিরকারি শর্ত অনুসারে ৩৫-৪০ জন সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীর জন্য একজন কাব্যতীর্থ শিক্ষক নিয়োগের নিয়ম থাকলেও ২০০২ সালে অর্থের বিনিময়ে ৩-৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য বসুদেব কুমার পালকে নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগে আছে, গত বছরের ১৬ নভেম্বরে বসুদেব প্রায় ১৭ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদন্নোতি পান।
এই অর্থ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রতিষ্ঠানে না দিয়ে এককভাবে আত্মসাৎ করেন। শুধু অর্থই নয় কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে একক ভাবে বসুদেবকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে এবং প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ গত জুলাই মাসের ১২ তারিখে শুরু হওয়া তদন্তের ফলাফল প্রকাশ না করতে গত ১৯শে জুলাই থেকে দফায় দফায় বৈঠক ও অর্থের আদান প্রদানের ঘটনা ঘটছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বসুদেব কুমার পাল জানান, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মন-মালিন্ন্যের সৃষ্টি হওয়ায় তারা বৈঠক করে তা নিরসনের চেষ্টা করেন। আমার কোন বিষয় এরমধ্যে জড়িত ছিলো না।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম শিশির জানান, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন কারণে অসন্তোষের সৃষ্টি হওয়ায় আমরা বিদ্যালয়ে ঘরোয়া ভাবে বৈঠক করে তা নিরসনের চেষ্টা করি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: জালাল উদ্দিন জানান, বসুদেবের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগটি সম্পন্ন ভাবে অবৈধ। অবৈধ সে আবার প্রধান শিক্ষক হয় কিভাবে? অচিরেই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। নওগাঁ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোসলেম উদ্দিন জানান, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের ফলাফল রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেছি। তিনি তদন্ত ফলাফলের উপড় ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
"