গফরগাঁও প্রতিনিধি
বাবার রিকশায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে ফিরল অদম্য হৃদয়
ঘরে খাবার নেই, পড়াশোনার জন্যে আলো নেই। তাতে কি। মনের আলো তো আর নিভে যায়নি। পড়াশোনায় প্রচ- ঝোঁক ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত জাহিদ হাসান হৃদয় শিক্ষার আলোয় নিজেকে আলোকিত করেছে। হৃদয় এবার গফরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পিএসি ও জেএসসিতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ার পাশাপাশি এসএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল হৃদয়। সে উপজেলার পাঁচপাই গড়াবেড় গ্রামের রিকশাচালক বাদল মিয়ার ছেলে।
তার আরেকটি প্রতিবন্ধী বোন রয়েছে। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ছেলেকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও শারীরিক প্রতিবন্ধী কন্যাকে নিয়ে তার বাবা ভাসছেন অথৈ সাগরে। তার বাবার উপার্জনের একমাত্র বাহন তিন চাকার রিক্সা। তাই দরিদ্র রিক্সাচালক বাবার এ ছেলে হৃদয় এখন উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নে বিভোর।
জাহিদের বাবা বাদল মিয়া বলেন, ছেলে জাহিদ ছোট বেলা থেকেই মেধাবী। অভাবের সংসার থাকলেও সে কখনো পড়াশুনায় ফাঁকি দেয়নি। এভাবেই সে নিজের চেষ্টায় বার বার ভাল ফলাফল করেছে। আমার সব স্বপ্ন এ ছেলেকে নিয়ে। গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. আমির হোসেন অদম্য মেধাবী জাহিদের উচ্চ শিক্ষায় অভাব যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য আমি পাশে থেকে সহযোগিতা করবো।
"