যশোরের অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের এক শিশু (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জাকির মোল্লা নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদ- দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত জাকির মোল্লা আমডাঙ্গা গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অতিম কুমার দে এ সাজা দেন।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি ইদ্রিস আলী। তিনি জানান, শিশুটি আমডাঙ্গা রেজিস্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর স্কুল ছুটির পর বাড়ি আসার সময় জাকির তাকে পেপে খেতে ডাকে। শিশুটি বাড়ি গিয়ে স্কুল ড্রেস খুলে জাকিরের কাছে পেপে খেতে যাচ্ছে বলে মাকে জানিয়ে যায়। জাকির তাকে জনৈক হাফিজুর বাড়ির সংলগ্ন শিম খেতে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহত মেয়েটির মা তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে জাকিরকে আসামির করে অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় আসামি জাকিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই মিঠু রাণী দাস। মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামি জাকির মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত জাকির মোল্লা কারাগারে আটক রয়েছে।

"