রাজশাহী প্রতিনিধি
নিম্নমুখী রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ফল
পাসের হার ৭১.৩০ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫,২৯৪
বিগত বছরগুলোর তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ ৫ সহ সব দিক দিয়েই কমেছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এবছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭১ দশমিক ৩০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৯৪ জন। এবার পাশের হারে ছাত্রীরা এবং জিপিএ ৫ পাওয়ায় ছাত্ররা এগিয়ে আছে।
গতকাল রোববার দুপুর দেড়টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক প্রামাণিক।
এবছর রাজশাহী বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ২৪ হাজার ১৮২ জন। তবে অংশগ্রহণ করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৮৩৬ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৮৬ হাজার ৮৭২ জন। মোট ৬৭ হাজার ৬২ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৬৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ হারে পাশ করেছে ৪৫ হাজার ২৪০ জন। আর ৫৪ হাজার ৭৭৪ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭৬ দশমিক ০১ শতাংশ হারে পাশ করেছে ৪১ হাজার ৬৩২ জন। মোট ৫ হাজার ২৯৪ জন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে ২ হাজার ৯৩৯ জন এবং ছাত্রী রয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ জন। এদিকে বিগত সাত বছরের তুলনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল সবচেয়ে খারাপ। ২০১৬ সালে পাশের হার ছিলো ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ ছিলো ৬ হাজার ৭৩ জন। ২০১৫ সালে পাশের হার ছিলো ৭৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ ছিলো ৫ হাজার ২৫০ জন। ২০১৪ সালে পাশের হার ছিলো ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ ছিলো ৭ হাজার ৬৪১ জন। ২০১৩ সালে পাশের হার ছিলো ৭৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ ছিলো ৭ হাজার ৬৬৬ জন। ২০১২ সালে পাশের হার ছিলো ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ ছিলো ৬ হাজার ৮৭২ জন। ২০১১ সালে পাশের হার ছিলো ৭৯ দশমিক ০১ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ ছিলো ৫ হাজার ৫৮৮ জন। এবছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১১টি কলেজের কোন শিক্ষার্থীই পাশ করতে পারে নি। যা গত বছর ছিলো ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে বোর্ডের ২৭ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হবিবুর রহমান বলেন, ‘সার্বিকভাবে ফলাফলে আমি খুশি। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ শিক্ষক না থাকায় এ বিষয়ে এবার অনেক কলেজের শিক্ষার্থীরাই ফেল করেছে। এবছর এই প্রশ্নপত্র শিক্ষকরাই বুঝতে পারেননি। অবিলম্বে কলেজগুলোতে দক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষক নিয়োগ দেবার দাবি জানাচ্ছি।’
"