চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
বন বিভাগের জায়গা দখল করে বসতঘর ও দোকান নির্মাণ
কক্সবাজার বন বিভাগের চকরিয়া ফাসিঁয়াখালী রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশজুড়ে মাদার ট্রি গর্জন ও সেগুন গাছ বিস্তৃত বিশাল বাগান। ওই বাগানের অভ্যন্তরে ডুলাহাজারা ইউনিয়নে প্রায় সহ¯্রাধিক বসত বাড়ি নির্মিত হয়েছে পর্যায়ক্রমে। তাদের অধিকাংশই ভিলিজারি সাইনবোর্ড দিয়ে এসব বসতবাড়ি নির্মাণ করছে, এতে বনবিভাগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও বন বিভাগের অন্যান্য জায়গা দখল করে অন্যজনের কাছে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট লোকজন। এমনকি ফাসিঁয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন রিংভং বিটের আওতাধীন ছগির শাহ্ এলাকায় প্রায় ৩ শত একর ভিলিজারি জায়গাতে চাষাবাদ হচ্ছে। পাশাপাশি কয়েকটি চিংড়ি ঘেরও রয়েছে। এসব কৃষি ও চিংড়ি জমি দখল নিয়ে নানা সংঘর্ষের ঘটনাসহ বিভিন্ন আদালতে মামলাও হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, এসব কৃষি ও চিংড়ি জমি বন বিভাগের আওতায় নিয়ে ইজারা দেয়া হলে সরকার প্রতি বৎসর ছগিরশাহ্ কাটা এলাকা থেকে অন্তত পক্ষে ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে। সরজমিনে দেখা যায়, একই দখলবাজরা গত ১৯ ও ২০ জুলাই রাতে মালুমঘাট গাছের বাগান এলাকায় রাতারাতি নতুন করে ২০টি দোকান ঘর ও বসত বাড়ি নির্মাণ করায় এলাকায় চলছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়। রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, দখল উচ্ছেদ করতে গেলে আ.লীগ নেতা কর্মীরা বাধার সন্মুখীন হয়ে দাঁড়ায়।
"