সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ফরম পূরণে অতিরিক্ত আদায় জানেন না অধ্যক্ষ!
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ফরম পূরণে বাংলা বিভাগে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মসজিদ/ঈদগাহের অনুদান হিসেবে ৫০ টাকা এবং ৩০০-৫০০ টাকার বিনিময়ে অনিয়মিত-অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত দেখান হচ্ছে। আর এ টাকা গ্রহণ কলেজের রসিদ ব্যবহার করলেও তাতে থাকছে না কারো সাক্ষর। অভিযোগ আছে, কলেজের অপর এক শিক্ষকের নির্দেশে বাংলা বিভাগের প্রভাষক অমল কৃষ্ণ সরকার এ কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না কলেজ অধ্যক্ষ নিজে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলারোয়া যুগিখালি ইউনিয়নের সরশকাটি গ্রামে এক ছাত্রী বলেন, বাবা কৃষক, গতকাল কলেজে এসেছিলাম টাকার অংক জানার জন্য। এসে জানতে পারলাম ফরম পুরুণের ফিসসহ অতিরিক্ত এক হাজার টাকা বেশি নিয়ে আসতে হবে। শুনেই হতবাক। কিছুই করার নেই। বাবা-মাকে বলার পর অনেক কষ্টে টাকা জোগায় করে দিয়েছে। রোববার ফরম পূরণ করলাম। দুই হাজার ৫৫ টাকা কলেজের একাউন্টে। আর বাকি তিনশ টাকা অনুপস্থিতকে উপস্থিত করার জন্য দিতে হয়েছে প্রভাষক অমল কৃষ্ণ সরকারকে। বাকি ৫০ টাকা মসজিদ/ঈদগাহের অনুদানের জন্য দিতে হয়েছে। এমন অভিযোগ শুধু এক ছাত্রীর নয় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া বাংলা বিভাগের ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রভাষক অমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, আমাকে বিভাগীয় প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্যার নির্দেশ দিয়েছেন। সে নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। বিষয়টি জানার জন্য বিভাগীয় প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
তবে কোন বিভাগকে ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি জানিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুদেব কুমার বিশ^াস জানান, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। যারা নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"