ফেনী প্রতিনিধি
কেন্দ্রের নির্দেশ মানেনি ফেনী ছাত্রলীগ, বিবাহিতরা স্বপদে বহাল
ছাত্রলীগের পদধারী বিবাহিত নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ৭২ ঘন্টা পার হলেও সংগঠনটির কেন্দ্রের নির্দেশ মানেনি জেলা নেতারা। গত শনিবার কেন্দ্রের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী জেলা ছাত্রলীগ ও আওতাধীন একাধিক একাধিক ইউনিটের বিবাহিতরা পদত্যাগ না করায় স্বপদে বহাল রয়েছেন। এনিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ বাস্তবায়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সংগঠনটির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৪ মে এক বছরের জন্য ফেনী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিতে সালাহউদ্দিন ফিরোজকে সভাপতি ও জাবেদ হায়দারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রায় ডজনখানেক নেতা বিয়ে করে সাংসারিক জীবনে ব্যস্ত। তাদের মধ্যে রয়েছেন সহ-সভাপতি সুলতানা রাজিয়া শান্তা, আলী আশরাফ রুবেল হাজারী, তারিকুল ইসলাম শাকিল, মো: ইব্রাহীম ভূঞা, যুগ্ম-সম্পাদক আকবর হোসেন মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ইমন, অর্থ সম্পাদক আবদুল্যাহ আল তায়হান, বিজ্ঞান স¤পাদক নাজমুল হোসেন মিনার, উপ-গণ যোগাযোগ সম্পাদক শিমুল উদ্দিন, সদস্য কামরুল হাসান শাহ।
এ তালিকায় ফেনী পৌর শাখার সহ-সভাপতি মো. হাছান, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল আহসান বাপ্পি, যুগ্ম-সম্পাদক রিয়াদ হোসেন রিয়াদের নাম রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শাকিল ও কাজী মাসুদ রানা, উপ-আইন সম্পাদক কামরুজ্জামান রুবেল, ত্রান ও দুর্যোগ সম্পাদক রিয়াদ সিকদার, সদস্য শাহাদাত হোসেন রিন্টুও রয়েছে। জেলা কমিটির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিবাহিত নেতারা পদত্যাগ না করে জেলা ছাত্রলীগের ইমেজ ক্ষুন্ন করছেন।
জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. হাসান জানান, নির্দিষ্ট সময়েও কেউ পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ফেনী জেলা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান সজিব জানিয়েছেন, বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতারা পদত্যাগ না করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সংসদকে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
"