বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় বন্যায় শতাধিক গ্রামের ১৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত
বগুড়ার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতি অবস্থায় রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি না পেলেও পানি বিপদ সীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়ার বন্যা কবলিত সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ বাড়ছে। বগুড়ার তিনটি উপজেলার শতাধিক গ্রামের ১৭ হাজার ৪০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর।
বগুড়া জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী গতকাল শুক্রবার বিকেলে তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন্যায় জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার মোট ১৪টি ইউনিয়নে শতাধিক গ্রামের ১৭ হাজার ৪০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর সাথে ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদরাসা এবং ১টি কলেজ বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির ফসল। এতে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ১০০টি পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন খড় ও ৪৬০ মেট্রিক টন ঘাস বিনষ্ট হওয়ায় গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ৬০ কিলোমিটার কাঁচা এবং ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দূর্গত এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য ১৩টি মেডিকেল টিম এবং ৬টি ভেটেরিনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ত্রাণ হিসেবে সাড়ে ৪’শ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১২ লক্ষ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২৮৫ মেট্রিক জিআর চাল, নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যাদূর্গত উপজেলাগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
একই সাথে বিশুদ্ধ পানির জন্য ৪০টি টিউবওয়েল ও ৭৮০০টি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ ও বাঁধে অস্থায়ী ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুজ্জামান।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার নতুন করে পানি না বাড়লেও বিপদ সীমার ৫৮ সেমি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
"