আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
অবৈধ ঘরের কারণে বন্ধ সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী বাজারের সেতুর সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ একটি ব্যক্তিমালিকানা ঘরের কারণে বন্ধ রয়েছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী আবু তাদের মিয়া জোড় পূর্বক সড়কের জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। আমতলী উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী বাজারের সেতু ও সড়ক নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে ৩ কোটি ২১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৮১ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। বরিশালের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লুৎফুল করিব-এর অধীনে ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ইতিমধ্যে সেতুর মূল কাজ শেষ হলেও ব্যক্তিমাকানাধীন ঘরের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে সংযোগ সড়কের কাজ। ফলে চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাজার হাজার এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেতুর সংযোগ সড়কের জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালী মোঃ আবু তাহের মিয়া গত ১০ বছর পূর্বে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। তাকে বারবার ঘর সরানোর জন্য বলা হলেও তা অগ্রহ্য করে সড়কের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে ও ঘর সরানোর দাবীতে ওই এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এতে বক্তব্য দেন গুলিশাখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল খোকন মৃধা, ইউপি সদস্য সোহাগ মোল্লা, সাবিনা ইসলাম ময়না, গোলাম মোস্তফা ও আলহাজ্ব ইউসুফ দফাদার প্রমুখ।
মেসার্স লুৎফুল কবির নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শফিকুল আজম বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের নক্সা অনুযায়ী কাজ করে আসছি। সেতুর সংযোগ সড়কে থাকা ঘরটি সরানোর জন্য আবু তাহের মিয়াকে বলা হলেও তিনি সরাচ্ছেন না বরঞ্চ কাজে বাঁধা দিচ্ছেন। ফলে আমি কাজ বন্ধ রেখেছি।
অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়া সরকারী জমিতে ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, সড়ক নির্মাণের জন্য ঘর ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় জমি ছেড়ে দেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম ও ইউএনও মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘরের মালিককে সরকারী জমি ছেড়ে সড়ক নির্মাণের জন্য সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
"