কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে সাড়ে ৩০০ হোটেলের এসটিপি আছে দুটির
পরিবেশ অধিদফতরের অভিযান শুরু
কক্সবাজারের সাড়ে ৩শ আবাসিক হোটেলকে স্যুয়ারেজ টিট্রমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) স্থাপনের নোটিশ দেয়া হলেও মাত্র ২টি হোটেল তা বাস্তবায়ন করেছে। বাকি অন্য সব হোটেল তা বাস্তবায়ন করেনি। পরিবেশ অধিদপ্তর এসব হোটেলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। আদায় করা হচ্ছে জরিমানা। শুরুকে দুইটি হোটেল ৭ লাখ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ আইন না মেনে কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় গড়ে উঠেছে শত শত আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবন, স্টুডিও এপার্টমেন্ট। পর্যটন শহরটি ইট কংক্রিটের শহরে পরিণত হয়েছে। এসব ভবনে যাতায়তের সুপরিসর কোন রাস্তা নেই। নেই নালা নদর্মা।
পয়:নিস্কাষণের কোন ব্যবস্থা যেমন নেই, নেই বর্জ ব্যবস্থাপনার কোন ডাস্টবিন। ময়লা আবর্জনা স্তুপ হয়ে থাকে আশে পাশের এলাকা। দুর্গন্ধ থেকে রেহায় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরু রাস্তা দিয়ে অভাবনীয় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে পথ চলতে হয় পথচারিদের। এটি গিঞ্জি শহরে পরিণত হয়েছে। এটি স্বাস্থ্যকর স্থান হলেও এখন অস্বাস্থ্যকর শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের অবস্থানের কারনে নানা চাপ বেড়ে যায়। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তেরণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর পয়: বর্জ্য পরিশোধনাগার তথা সুয়ারেজ টিট্রমেন্ট প্ল্যান (এসটিপি) স্থাপনের জন্য নোটিশ প্রদান করে। সাড়ে ৩শ আবাসিক হোটেলকে নোটিশ দেয়া হলেও বাস্তবায়ন করেছে মাত্র ২টি হোটেল। অন্য বাকি সব হোটেল বাস্তবায়ন করেনি। বাস্তবায়ন না করায় পরিবেশ অধিদপ্তরও হার্ড লাইনে অবস্থানে নিয়েছেন। জরিামানা আদায়ের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। শুরুতে দুইটি হোটেলকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করে। এর মধ্যে কলাতলি মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে নির্মিত নি:স্বর্গ হোটেলকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও মেসার্স ইমাজিন হোটেল (স্টুডিও এপার্টমেন্ট) নামক আবাসিক হোটেলকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে। কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজারের পর্যটন জোন এলাকায় অবস্থানগত ছাড়পত্র না দিয়ে পূর্বে অসংখ্য বহুতল ভবন গড়ে উঠে। আর নতুন করে যারা স্থাপনা তৈরি করছে তারা ছাড়পত্র নেইনি। এ অবস্থায় সাড়ে তিন শত আবাসিক হোটেলকে ছাড় পত্র নিতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ইনানীতে হোটেল রয়েল টিউলিপ ও কলাতলী মোড়ের হোটেল সায়মান ব্যতিত অন্য কোন হোটেল এসটিপি স্থাপন করেনি। এসব হোটেলের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ জানান,‘ পরিবেশ আইন না মেনে যেভাবে স্থাপনা তৈরি হচ্ছে এতে বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠবে পুরো শহরটি। তাই বর্তমান পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে নির্মাণাধিন ভবনগুলোর স্থাপনা নির্মান বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। আর যারা আগে নির্মান করেছে তাদের স্থাপনা পরিবেশবান্ধব করতে পুন: সংস্কার করা জরুরি।’
"