চট্টগ্রাম ব্যুরো
ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেফতার ১২
দ্রুতগতির জন্য কাঠের ট্রলারে ‘হিনো বাসের’ ইঞ্জিন
দ্রুত গতিতে চলাচলের মাধ্যমে অধরা থাকতে কাঠের ট্রলারে ‘হিনো বাসের’ ইঞ্জিন ব্যবহার করছে ইয়াবা পাচারকারীরা। প্রথমবারের মত বিষয়টি উঠে এসেছে র্যাবের অভিযানে। এরকম একটি ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবাসহ ১২জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মায়ানমারের পাঁচজন নাগরিক আছেন। গত শুক্রবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে ‘মায়ের দোয়া’ নামের একটি ট্রলার থেকে ইয়াবার চালানটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নজির আহমেদ (৫৫), মো. হাসেম (১৯), মো. ছাদেক (২৫), খায়রুল আমিন (২০), মো. জাফর (৩০), মো. খোকন (২৫), আনিসুর রহমান (১৮)। মায়ানমারের পাঁচ নাগরিকরা হলেন- মো. ইসমাইল (২০), আব্দুল খালেক (২০), সাদ্দাম হোসেন (১৯), নুর আলম (২৫) ও মো. সেলিম (২০)। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সাগরে টহল দেয়ার জন্য র্যাবের নৌযানটি ঘন্টায় ৩০ নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিতে সক্ষম। হিনো বাসের ইঞ্জিন লাগানোর পর ‘মায়ের দোয়া’ ট্রলারটিও ঘন্টায় ৩০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করছিল। এটা আইনত নিষিদ্ধ। ট্রলার চলবে মেরিন ইঞ্জিন দিয়ে। আমাদের বোটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পালাতে তারা এই কৌশল নিয়েছে। ট্রলারে বাসের ইঞ্জিন লাগানোর তথ্য প্রথমবারের মতো জানা গেছে। তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকৃত ইয়াবার চালানের মালিক পটিয়ার বাসিন্দা ফারুক ওরফে বাইট্টা ফারুক ওরফে বিচ্ছু ফারুক। জব্দকৃত ‘মায়ের দোয়া’ ট্রলারটির প্রকৃত মালিক ফারুক। মাছ ধরার আড়ালে ইতোপূর্বে এই ট্রলার পাঁচবার ইয়াবার চালান আনতে মায়ানমার যায়। এর মধ্যে তিনবারে ১০ লাখ করে মোট ৩০ লাখ ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। বাকি দুবার প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ইয়াবা না নিয়ে ফেরত আসে। র্যাব কর্মকর্তা মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ৬ষ্ঠ বারের মত মায়ানমার গিয়ে ১৫ লাখ ইয়াবা আনার সময় ট্রলারটিকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। ট্রলারে থাকা মায়ানমারের পাঁচ নাগরিকসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার ইয়াবার মূল্য ৭৫ কোটি টাকা এবং জব্দকৃত ট্রলারটির মূল্য এক কোটি টাকা। ইয়াবার মালিক ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
"