সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
দুর্বৃত্যায়নের কবলে পূজা উদ্যাপন পরিষদ
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে সিরাজগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায় এবং জেলাবাসির মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একটি পত্রিকায় সভাপতি হিসাবে সন্তোষ কুমার কানু এবং সাধারন সম্পাদক হিসাবে সঞ্জয় সাহার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে। শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সন্তোষ কুমার কানু এবং সঞ্জয় সাহা নিজেদের উল্লেখিত পদ ব্যবহার করার কারনে জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদ নিয়ে বিভ্রান্তি, নেতিবাচক এবং খারাপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, অনিয়মতান্ত্রিক, অবৈধ ও গঠনতন্ত্র বিরোধীভাবে নেতা নির্বাচন এবং পদ আঁকড়ে থাকার প্রবণতা মূলত পূজা উদযাপন পরিষদকে বিতর্কিত করে তুলেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, সিরাজগঞ্জে কেন্দ্রীয় নির্দেশে কোন নতুন কমিটি গঠন হয়নি। প্রয়োজনে সিরাজগঞ্জে পূর্বের কমিটি কাজ চালাবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন বলে বিশ^স্থ সূত্রে জানা যায়। সভাপতি পদ ব্যবহারকারী সন্তোষ কুমার কানু বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অংকুর জিৎ সাহা নব উপস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত এবং ভোট গননাও করেছেন (তার ভাষায়)। বেসরকারি ভাবে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে উল্লেখিত দুজনের নাম ঘোষনা করেছেন। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অনুমোদন নেবার কথাও জানান তিনি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাড. বিমল কুমার দাস বলেন, ইলেকশন নয় সিলেকশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন না দিলে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদ ব্যবহার ও প্রচার করা যায় না। জানা গেছে, পূজা উদযাপন পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ন হবার কারণে অ্যাড. রঞ্জিত মন্ডল স্বপন ও অংকুর জিৎ সাহা নব ও অ্যাড. বিমল কুমার দাসকে নিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচন সম্পূর্ণ করে জেলা কমিটি গঠনের কথা থাকলেও ৯টি উপজেলার ৯জন এবং জেলা সদরের অন্যান্যদের নিয়ে মোট ২৩ জন সদস্যকে ভোটার বানিয়ে কথিত নির্বাচন দেওয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং গঠনতন্ত্র বিরোধী।
সমাজ হিতৈষী অ্যাড. ইন্দ্রজিত সাহা, অ্যাড. রঞ্জন পাল, ডা. নিত্যরঞ্জন পাল, গোবিন্দ চৌধুরী, অ্যাড. কল্যাণ সাহা, অজিত কুমার সাহা, নরেশ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, যে সমস্ত নেতৃত্বকে নিয়ে মানুষের মাঝে প্রশ্ন আছে তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা গঠনমূলক চিন্তা করে তাদেরকে দিয়ে কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।
"