মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

  ২৪ জুন, ২০১৭

ঈদে বেপরোয়া মাদক কারবারিরা দেওয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারিও

ঈদ সামনে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ২২টি ইউনিয়নে ৩১৭টি গ্রাম, মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানা নিয়ে গঠিত মুরাদনগর উপজেলা। সেই বৃহত্তর উপজেলার গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, অলিগলিতে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট মাদক বেচাকেনা। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাতে আটক ও মধ্যে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকজনকে সাজা দিলেও কখনো থেমে নেই এদের মাদক ব্যবসা। আবার গ্রামগুলোতে বিকাশে টাকা পরিশোধের পর হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মাদক পৌঁছে দেওয়া হয় বাসায়। পুলিশ মাদকের বড় চালানের দিকে নজর দিলেও এসব খুচরা ব্যবসায়ীদের বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। ফলে ঘরে বসে নিশ্চিন্তে মাদক পাচ্ছে আসক্তরা। যার কারণ স্কুল কলেজগামী কিশোর তরুণদের মধ্যে মাদকের ব্যবহার ও পাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেই অভিভাবক মহল চরম উদ্ধেগ ও উৎকন্ঠায় পড়েছেন। এই মরণনেশার ছোবল থেকে কোমলমতি সন্তানদের বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে মাদকের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। দিনে-রাতে অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য। এ কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করছে থানা পুলিশের কতিপয় সোর্স, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, ছাত্রনেতাসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে উপজেলার মুরাদনগর ও বাঙ্গরা বাজার থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা হয়েছে ও আটক হয়েছে। তারাই এখন ঈদ সামনে রেখে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য বিক্রিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

কোম্পানীগঞ্জ বাজারের এক মাদকবিক্রেতা নাম প্রকাশ না করে জানায়, পুলিশ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় ও তাদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা।

মুরাদনগরের এক বাসিন্দা বলেন, এই এলাকায় থানার সোর্সরা আসামি ধরার নামে পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। তারাই টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসার সুযোগ করে দেয়। আবার কেউ মাদক বিক্রিতে বাধা দিলে সোর্সরা তাদেরকে কৌশলে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

মুরাদনগর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদকে আমরা জিরু টলারেন্স।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে কোনো আপস নেই। আমি এ থানায় আসার পর বেশ কয়েকটি মাদকের ছোট-বড় চালান আটক করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযান অব্যাহত আছে এবং প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist