কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে বাঁচতে মামলার পাঁয়তারা
কুষ্টিয়ার মিরপুরে শিশু শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ থেকে বাঁচতে নিজ মেয়েকে দিয়ে ওই শিশুর চাচার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলার পাঁয়তারা করছে ইমরুল। নিজ মেয়েকে দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলার পাঁয়তারার কথা অপকটে স্বীকারও করেছে ইমরুল। তাকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর সাবেক মেম্বর রুহুল আমীন। আর এ জন্য তিনি ইমরুলের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মিরপুর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের সাবান প্রামানিকের লম্পট ছেলে ইমরুল প্রামানিক (৩৪) ছয় বছরের এক শিশুর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে গত ৬/৬/২০১৭ তারিখে। বিবাহিত ইমরুল তালশাস খেতে দেওয়ার নাম করে শিশুকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ঘরের ভেতর সাউন্ড বক্স জোরে দিয়ে মেয়েটির পোশাক খুলে ইমরুল ওই শিশুর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার থানায় যাওয়ার কথা বললে, পোড়াদহ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার রুহুল আমীন তাদের বাধা দেন। মেয়ের পরিবারকে রুহুল জানায় থানায় যাওয়ার দরকার নেই আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেব। পরে রুহুল মেম্বার অভিযুক্ত ইমরুলের পক্ষ নিয়ে থানা ও এলাকার মাতবরদের ম্যানেজের নামে ইমরুলের বাড়ির দুটি গরু বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নেয় বলে জানান ইমরুলের এক প্রতিবেশী। এ বিষয়ে সাবেক মেম্বার রুহুল বলেন, ‘আমার বিষয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ এ বিষয়ে ইমরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিজ মেয়েকে দিয়ে নারী নির্যাতনের মামলার পাঁয়তারার কথা অপকটে স্বীকার করে ইমরুল বলেন, ভাইয়া এগুলো বাড়ির বিষয়, উকিলের কাছে মামলা লেখা হয়েছে তবে করা হয়নি। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোজাম বলেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে তা সত্য। ইমরুল তার মেয়েকে দিয়ে অভিযোগকারীর ছোট ভাই তুফানের বিরুদ্ধে আদালতে নারী নির্যাতনের মামলাও করা চেষ্টা করছে এটাও সত্য। সাবেক মেম্বার রুহুল অভিযুক্ত ইমরুলের পক্ষ নিয়েছে এটাও সত্য।
"