রংপুর প্রতিনিধি

  ২৩ জুন, ২০১৭

জামিনে বেরিয়ে বাদীকে অ্যাসিড মেরে হত্যার হুমকি

রংপুর মহানগরের এরশাদ নগরে জামিনে বেরিয়ে এসে বাদীর দোকান ভাঙচুর ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে আসামি আরিফসহ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাদী রাহেলা বেগম ও আনোয়ার হোসেনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালায়। গত বুধবার দুপুরে মহানগরের এরশাদ নগর চিনিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। অভিযুক্ত আরিফ (১৯) একই গ্রামের আনোয়ারের ছেলে।

এ ঘটনায় মামলার বাদী মর্জিনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত সোমবার আসামিরা জামিন নিয়ে বাসায় এলে উক্ত ঘটনা জের ধরে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় আসামিরা বলে, ‘মামলা একটা খেয়েছি যদি এই মামলা তুলে না নিস তাহলে তোর ছোট বোন আদুরিকে কলেজ যাওয়ার সময় মুখে অ্যাসিড মেরে পুড়িয়ে দেব।’ কোতোয়ালি থানার (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, জিডি করে থাকলে করেছে, এখন আমরা কোর্টে রির্পোট দিয়ে ওদের জামিন বাতিল করিয়ে দেব।

অভিযোগে জানা যায়, গত ২০ মে রাতে পূর্বশক্রতার জের ধরে রংপুর মহানগরের এরশাদ নগর চিনিয়াপাড়া গ্রামে সেলিম মিয়ার স্ত্রী গৃহবধু মোছা. মর্জিনা বেগমকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৪-৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও ১নং আসামিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কুপিয়ে জখম করে। একই গ্রামের আনোয়ারের ছেলে আসামি আরিফ (১৯) মোছা. রাহেলা বেগম (৩৫), গোলাপ (২০), আনোয়ার হোসেন (৪২) তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে কাব দার্প ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। পরে এ নিয়ে মামলা করলে হত্যা করবেন মর্মে হুমকি প্রদান করে বলে যায়। পরে এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ১নং আসামি আরিফসহ তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই পরিবারটি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist