তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
সাঁওতালপল্লীতে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বাধাইড় ইউনিয়ন ইউপির প্রত্যন্ত ও নিভৃত ধামধুম সাঁওতালপল্লীতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। রাজশাহীর তানোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের সীমান্তসংলগ্ন ধাসধুম সাঁওতালপল্লীতে কোনো টিউবওয়েল ‘নলকূপ’ নেই। ফলে সেখানে বসবাসরত ৫০ পরিবারকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন তাদের এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের পাশের গ্রাম থেকে খাবার পানি নিয়ে আসতে হচ্ছে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধামধুম সাঁওতালপল্লীর গৃহবধূ ও কিশোর-কিশোরীরা খাবার পানি সংগ্রহের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে মাটির কলস ও বালতি নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের সিমেন্ট কারখানায় যাচ্ছেন। গৃহবধূ সেফালী মুর্মু, মিনতী, শিবাসটিয়াল ও পলি বলেন, তাদের পল্লীতে একটি মাত্র হস্তচালিত নলকূপ আছে কিন্তু প্রায় আট মাস ধরে সেটি নষ্ট হয়ে আছে। তাদের গ্রামের মধ্যে একটি পুকুর ও অদূরে একটি খাল আছে কিন্তু খালের পানিতে বিভিন্ন ধরনের সার প্রয়োগ করে মাছ চাষ করায় এসবের পানি তারা গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না। আবার দীর্ঘদিন ধরে তারা গ্রামের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক মোটর পাম্প স্থাপনের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারের দুয়ারে দুয়ারে ধর্না দিচ্ছেন, কিন্তু কেউ এ বিষয়ে এগিয়ে আসেনি। আমরা সাঁওতাল ও দরিদ্র বলে কেউ আমাদের খোঁজ রাখে না। বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে। ধামধুম সাঁওতালপল্লীর বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা কার্তিক হেমরম (৬৫) বলেন, আমাদের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি আনতে হয়। শুধু বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
"