মেহেরপুর প্রতিনিধি
ঘুষ দিয়েও ২০ বছর পর চাকরিচ্যুত মেহেরপুর পৌরসভার ৫১ কর্মচারী
চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় মেহেরপুর পৌরসভায় বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করে সাবেক মেয়রের নিয়োগ দেওয়া ৫১ কর্মচারীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন। অভিযোগ আছে-ছাঁটাই হওয়া এসব কর্মচারীর অনেকেই জমি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা দিলেও দীর্ঘ দুই দশকেও চাকরি স্থায়ী করেননি সাবেক মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ। ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীরা ঈদের পরে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। ছাঁটাই হওয়া কর্মচারীদের একজন নাসিমা খাতুন ছাড়া সবাই টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন। তবে নাসিমার স্বামী শামীম হোসেন দাবি করেছেন-তার স্ত্রীকে চাকরি পেতে মেয়র মোতাছিম বিল্লাহকে ৬০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। গেস্ট হাউসের সাবেক কেয়ারটেকার গোলাম কিবরিয়া জানান, ১৯৯৬ সালে জমি বিক্রি করে মেয়রকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিলেন। গেস্ট হাউস দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন পেতেন দিনহাজিরা ১৫০ টাকা হিসেবে। মেয়রের কাছে টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। তিনি টাকা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন। যে দুই বিঘা জমি বিক্রি করে চাকরি নিয়েছিলেন এখন সেই জমির দাম ১৫ লাখ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরি হারানো মেয়রের এক নিকটাত্মীয় জানান, নিকটাত্মীয় হয়েও তার কাছে টাকা নেন সাবেক মেয়র মোতাছিম বিল্লাহ। তার পরেও তার চাকরি স্থায়ী হয়নি। এখন তাকে আত্মীয় পরিচয় দিতেও ঘৃণা লাগছে। সাবেক মেয়র মোতাছিম বিল্লাহর সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি। তিনি দাবি করেন-চাকরি হারানো কারো কাছে তিনি টাকা নেননি।
বর্তমান মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন জানান, টাকাকড়ি নিয়ে সাবেক মেয়র অস্থায়ী ভিত্তিতে অবাঞ্ছিত পদে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দিয়েছিলেন। যা অপ্রয়োজনীয়। মাথা ভারী কমাতে অপ্রয়োজনীয় লোকবল ছাঁটাই করা হয়েছে।
"