গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
অবাধে চলছে রেণু পোনা নিধন
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সর্বত্র অবাধে শুরু হয়েছে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা নিধনের মহোৎসব। নদ-নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে এ নিধন। এ এলাকা থেকে প্রতিদিন বিশাল হাঁড়িতে করে গাড়িবোঝাই করে চালান হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মোকামে। সাগরপাড়ের সোনারচর থেকে শুরু করে মৌডুবী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ তটরেখা এবং অভ্যন্তর ভাগের প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিশাল এলাকায় চলে পোনা শিকারিদের তান্ডব। এর আয়তন প্রায় ৭০০ বর্গকিলোমিটার। পোনা শিকার করতে গিয়ে ধ্বংস হয় মৎস্য ও মৎস্য সম্পদের বিশাল অংশ। তছনছ হয়ে যায় মাছের নার্সারি গ্রাউন্ড। একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস জানান, জেলেদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে এখন আর আগের মতো কেউ তীরে বা ডাঙায় বসে পোনা বাছাই করে না।
সূত্র জানায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের এক হাজার পয়েন্টে বসে হকাররা শিকারিদের কাছ থেকে পোনা সংগ্রহ করে। খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় গলাচিপা পৌর শহরেও বসানো হয়েছে গলদা পোনার আড়ত। হকাররা পোনা নিয়ে যাচ্ছে আড়তে। আড়তদারের মাধ্যমে এগুলো চালান হয়ে যাচ্ছে চালনা, রামপাল, বাগেরহাট, পাইকগাছা, সাতক্ষীরা, ফয়লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। অবাধে গলদা পোনা শিকার করায় সামুদ্রিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য বর্তমানে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
গলাচিপা চিংড়ি ঘের মালিক নূরুল আমিন খলিফা জানান, এ এলাকায় প্রতিবছর রেণুু পোনা থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় হয়। পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আহরণ বন্ধ করা যাবে না। পোনা আহরণে ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
"