নেত্রকোনা প্রতিনিধি
‘২৬ মার্চ পালনের জন্য আমাকে এই চেয়ারে বসানো হয় নাই’
‘২৬ মার্চ পালনের জন্য আমাকে এই চেয়ারে বসানো হয় নাই। আমি ছুটি নিয়েছি এখন তাড়াতাড়ি চলে যাব, আপনারা বেরিয়ে যান।’ নেত্রকোনা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সংস্থা (বিএডিসি) ক্ষুদ্র সেচ রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্ত রঞ্জন রায় এই কথা বলেন।
এ ঘটনায় বিক্ষব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবশেষে নিজ কার্যালয়ে বঞ্চিত হয়ে পাশ্ববর্তী খামারের মাঠে জাতীয় দিবসের কর্মসূচী পালন করেছেন। গত সোমবার প্রতিষ্ঠানের সহকারী হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. এনামুল হকসহ ২০ জন প্রশাসনিক-কর্মচারী নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা-ের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ক্ষুদ্রসেচের সদস্য পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, নেত্রকোনা বিএডিসি ক্ষুদ্রসেচ রিজিওনের প্রশাসনিক কর্মচারীগণ গত ২৩ মার্চ নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্ত রঞ্জন রায়ের অফিস কক্ষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং পরদিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শের জন্য গেলে প্রকৌশলী দম্ভোক্তি করে ওইদিন দ্রুত কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এরই প্রেক্ষিত নেত্রকোনা বিএডিসি রিজিওনে এই প্রথমবারের মত স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচী আয়োজনে বঞ্চিত হয়।
এ ব্যাপারে বিএডিসি ক্ষুদ্রসেচ জোনের সহকারী প্রকৌশলী শেখ মো. আফজাল হোসেন বলেন, স্যার ছুটিতে থাকায় দুইটি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। বৈদুতিক লাইট না পাওয়ায় এ বছর অফিস আলোকসজ্জা হয়নি। অফিসে অনুষ্ঠান করতে না পেরে আমি ক্ষুদ্রসেচ স্টাফদের নিয়ে পাশ্ববর্তী খামারের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছি।
জেলা বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্টাফদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। গণহত্যা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন না হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
"