মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
আ. লীগের দুই গ্রুপে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ৪ আটক ১
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সরকারি জলমহল অস্থায়ী ইজারার দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জরিত থাকার অভিযোগে পুলিশ ময়নল হেসেন নামে এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষে চার জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপর দিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার ভাংচুরে ঘটনাটি পালটাপালটি অভিযোগ করছে দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
আহতরা হলেন, মোশারফ হোসেন, ইয়াছির আরাফাত, সোহরাফ হোসেন, মানিক মিয়া আহত হয়। আহত মোশারফ হোসেন মুরাদনগর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জানা যায়, উপজেলার সরকারি জলমহল অস্থায়ী ইজারার দরপত্র দাখিল করার সময় জন্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও স্থানীয় এমপি ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন নেতাকর্মীরা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যায়। তখন দরপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও কিলঘুষিসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আ’লীগ অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার ভাঙচুরে ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা ময়নল হোসেন কে আটক করে পুলিশ। এ বিষযে জাহাঙ্গীর গ্রুপের নেতা সৈয়দ আহমেদ হোসেন আউয়াল বলেন, উপজেলা আ’লীগের দলিয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসিরা হামলা করে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে। ওসি আমার কোন কথা না শুনে ঘটনাটি ভিন্ন ভাবে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের দলীয় কর্মী ময়নলকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এমপি ইউছুফ হারুন গ্রুপের নেতা ও কুমিল্লা উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু পার্থ সারথী দত্ত বলেন, উপজেলায় সকলের অংশগ্রহণেই দরপত্র জমা পরেছে। কিন্তু আমাদের এমপি ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের এক নেতার ইন্দনে তার অনুসারিরা আ’লীগ অফিসে ঢুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে। মুরাদনগর থানার ওসি এস.এম বদিউজ্জামান বলেন, আউয়াল সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। দু’গ্রুপকে নিভৃত করে পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রনে ছিলো ঠিক তখনই ময়নোল হোসেন নামের ছেলেটি আ’লীগ অফিসের চেয়ার ভাঙ্গতে ছিল।
"