কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা দুই শ্রমিক নেতা আটক
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের বিরুদ্ধে এক বাস চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন মুন্না (২৬)। তিনি কালিয়াকৈর পরিবহন সার্ভিসের (কেপি) চালক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুন্না বুধবার রাতে বাস চালিয়ে গাজীপুর থেকে কালিয়াকৈরে আসছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে হেলপার জাফর হোসেন ও সুপারভাইজার নিপু ছিল। বাসটি মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় পৌছলে গাজীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আফজাল হোসেন, বাবুল হোসেন, লাকি মিয়া, সোরহাব হোসেন ও মোজাম্মেল হোসেনসহ ৫-৭ জন শ্রমিক নেতা ওই বাসে ওঠেন। পরে তারা মুন্না, নিপু, জাফর, হাসান ও জুয়েলকে গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় (কালিয়াকৈর) এর ভেতরে রড ও কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। একপর্যায়ে তাদের ওই কার্যালয়ের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে নেতারা চলে যায়। খবর পেয়ে মুন্নার পিতা আলী হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে বাস চালক মুন্নাকে মুমূর্ষূ অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে চালক মুন্না মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলী হোসেন বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে গাজীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা আফজাল হোসেন, বাবুল হোসেন, লাকি মিয়া, সোরহাব হোসেন ও মোজাম্মেল হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫-৭ জন শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন (৪৫) ও গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের চন্দ্রা শাখার সভাপতি লাকি মিয়াকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ। মুন্নার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন) মাসুদ আলম জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
"