শাহীন রহমান, পাবনা

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

পাবনায় চলছে নদী ও হাটের জমি দখলের মহোৎসব

সরকার যখন অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন পাবনা জেলায় চলছে দখলের মহোৎসব। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন সচেতন মানুষ। অভিযোগ আছে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও প্রভাবশালীদের মতো সাঁথিয়া উপজেলা সদরের খোদ পৌর মেয়রই বোয়াইলমারি হাটের সরকারি খাস জমিতে পাকা ইমারত তৈরি করছেন।

পাবনা জেলা প্রশাসক যখন ইছামতী নদী দখলমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ঠিক সেই সময় নতুন করে ইছামতী নদীতে আরসিসি পিলার করে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ করছে প্রভাবশালী মহল। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। কিন্তু তাতে কোন ফল হচ্ছে না। প্রশাসনও কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

জেলার বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, তিনি বারবার প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন, কিন্তু কোন সহযোগীতা পাচ্ছেন না।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা সদরের বোয়াইলমারী মৌজায় ইছামতী নদীতে (আই-৩ প্রধান সেচখাল) আরসিসি পিলার দিয়ে পাকা নির্মাণ কাজ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। একইভাবে আরসিসি পিলার দিয়ে হলুদঘর মৌজায় ইছামতী ব্রিজের পাশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি গত ১৭ জানুয়ারি সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এফআইআর করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাঁথিয়াস্থ উপ-সহকারি প্রকৌশলী।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমি কোন অভিযোগ পাইনি।

তবে একটি সূত্র জানায়, হলুদঘর ব্রিজের নিকটস্থ নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছে পুলিশ। তবে বোয়াইলমারী বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে নির্মাণাধীন পাকা কাজ এখনও চলছে।

এদিকে নদীর পাশাপাশি হাটের জমিও দখল করছে প্রভাবশালী একটি মহল। হাটের মধ্যে খাস জমি যা হাট ফেরিফেরির জমি বলে পরিচিত সেসব জমিতে প্রভাবশালীরা পাকা ঘর নির্মাণ করে সেগুলো আবার ভাড়া দিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে।

সাঁথিয়া উপজেলা সদরের বোয়াইলমারি হাটের মধ্যে (১ নং খাস খতিয়ান ভূক্ত) সরকারি খাস জমিতে (আর এস দাগ নং ১১৫৯ ও ১১৬০) সাঁথিয়া পৌর মেয়র মেরাজ উদ্দিন প্রাং পাকা ইমারত তৈরি করছেন। এছাড়াও তার নিকটবর্তী অপর দুটি প্লটে (আর এস দাগ নং ১১৫০ ও ১১৫১) আরসিসি পিলার করে পাকা ইমারত নির্মাণ করছেন প্রয়াত অসীত কুমার দাসের পুত্র অসীম কুমার দাস। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দাবি করেন, এই জমি তাদের।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা অবহিত হয়েছি এসব জমি খাস খতিয়ানভূক্ত। মাপ-জোক হবে, তারপর অবশ্যই ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তবে আপাতত যারা নির্মাণ কাজ করছেন তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’

জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো বলেন, ‘সরকারি জমি বা খাস জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ বা দখল করতে দেয়া হবে না।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist