ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
নামেই রেলস্টেশন দুর্ভোগে যাত্রীরা
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়াল সেতু, শরৎ নগর, ভাঙ্গুড়া ও দিলপাশার রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ৩টি স্টেশন শুধু নামেই। উপজেলার বড়াল সেতু রেলওয়ে স্টেশন বাদে বাকী ৩টি স্টেশনে লোকাল ট্রেন ছাড়া কোন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নেই। এখানে নেই কোন স্টেশনের সুবিধাদি। স্টেশন থাকলেও তা থেকে কোন উপকার পাচ্ছে না এলাকাবাসি। ফলে দুর দুরান্ত থেকে আগত মানুষকে একমাত্র অবলম্বন বড়াল ব্রীজ স্টেশন হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এলাকাবাসি ও স্টেশন মাস্টার সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত এ স্টেশনগুলো একসময় যাতায়াত ও মালামাল উঠা নামার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতো। বর্তমানে স্টেশন ৩ টিতে ট্রেন না থামানোর ফলে জৌলুস হারিয়ে গেছে। স্টেশনগুলোতে স্টেশন মাস্টারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলেও নেই ট্রেনের যাত্রাবিরতি। এর মধ্যে ভাঙ্গুড়া ও শরৎনগর স্টেশন দুটি ট্রেন ক্রসিং হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দিলপাশার স্টেশন ছাড়া শরৎনগর ও ভাঙ্গুড়া স্টেশনে কোন প্লাটফরম, টিকিট কাউন্টার, বিশ্রামাগার ও শৌচাগার নেই। প্লাটফরম না থাকায় লোকাল ট্রেনের যাত্রীদেরকে চরম ঝুঁকি নিয়ে উঠা নামা করতে হচ্ছে।
স্টেশনগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এর বেহাল অবস্থা। এলাকার স্টেশন মাস্টারের কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নষ্ট হয়ে গেলেও রেলওয়ের যেন কোন মাথা ব্যথা নেই। এছাড়া রেলওয়ের দু’পাশের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
ইতিপূর্বে ইউনুস এমএলএ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা বায়েজিদ্দৌলা বিপুর নেতৃত্বে ভাঙ্গুড়া রেল স্টেশন সহ সকল রেল স্টেশনের প্লাটফরম উঁচু ও সেড নির্মাণের লক্ষে মানববন্ধন, অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নরছে না বলে এলাকাবসী দাবি করেন।
গতকাল শনিবার সকালে ভাঙ্গুড়া রেল স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার নুরু উদ্দিন জানান, আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি অবগত করেছি।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জিএম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আলম জানান, আমরা সব বিষয়ে অবগত আছি এবং আশা করছি খুব দ্রুত রেলের ব্যাপক উন্নয়ন আপনারা দেখতে পাবেন। এলাকার সচেতন মহল বিষয়টিকে অতি দ্রুত গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখার জন্য সরকার ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
"