মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে থেমে গেছে সওজের উচ্ছেদ অভিযান
মেহেরপুরে রাস্তার পাশে প্রান্তিক জনপদের ব্যবসায়ীদের আংশিক উচ্ছেদ করতে পারলেও স্থায়ী পাকা ইমারত নির্মাণ করে দখলে রাখা জায়গা দখলে নিতে পারে নি সড়ক ও জনপথ। মাত্র দুদিনে ৮ কিলোমিটার দখলমুক্ত করার পর বন্ধ হয়ে গেছে দখলমুক্ত কার্যক্রম। অভিযোগ আছে, একটি মহলের চাপে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে ও জেলা শহরে সড়ক ও জনপথের ২৪ কিলোমিটার জায়গা দখল করে কেউ কাঠের বাক্স, কেউ পাকা ইমারত নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। গত সোম ও মঙ্গলবার গাংনী বাজার ও মেহেরপুর পুলিশ লাইনের পাশের মোট ৮ কিলোমিটার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। যেখানে কেউ অস্থায়ীভাবে ছাপরা তুলে কেউ পান বিড়ি, কেউ চা বিক্রি করতো। কিন্তু যারা স্থায়ী পাকা ইমারত নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের উচ্ছেদ করতে পারেনি। ২৮ কিলোমিটারের মধ্যে ওয়াবদা মোড়, কলেজ মোড়, আমঝুপি বাজার, বারাদি বাজারের দখলদারদের অধিকাংশজনই প্রভাবশালী হবার কারণেই তাদের দখলে নেয়া জায়গা দখলমুক্ত করা হচ্ছে না। পুলিশ লাইনের কাছে অস্থায়ী কাঠের দোকানঘরে পান-বিড়ি বিক্রেতা এক প্রান্তিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দুর্বল বলেই তাদের তুলে দেয়া হলো। যারা স্থায়ী পাকা ঘর তুলে দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২৪ কিলোমিটার থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যেকার দখলদারদের সোম ও মঙ্গলবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করে যারা দখলে আছেন তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উচ্ছেদ সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে উচ্ছেদ মামলা করা হবে। মামলায় জেলা প্রশসক অনুমতি দিলে তাদের উচ্ছেদ করা হবে। তিনি স্বীকার করেন, ২৮ কিলোমিটারের মধ্যে দখলদারদের অনেকেই প্রভাবশালী।
"