নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ১২ আগস্ট, ২০২০

ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব

ঈদে ভিজিএফ বঞ্চিত ৭০০ দরিদ্র নান্দাইলে ইউপি কার্যালয় সিলগালা

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার বঞ্চিত হয়েছে ৭০০ হতদরিদ্র পরিবার। চরবেতাগৈর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উদ্দিন ও ইউপি সচিব মাহবুব আলমের সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে উপকারভোগী অতি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে ইউপি সচিব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অভাবে ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিতি থেকে বিরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চরবেতাগৈর ইউনিয়নের জন্য ৪ হাজার ৩৮৭টি কার্ডের বিপরীতে ৪৩ দশমিক ৮৭০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ ছিল। নিয়মানুযায়ি সারা দেশে চাল বিতরণ শুরু করার ২ দিন পর ২৮ জুলাই সকালে বেতাগৈর ইউনিয়ন আ.লীগের আহ্বায়ক আবুল হাশেম ও ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু করেন ইউপি সচিব। ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন চাল বিতরণের সময় তাকে জানানো হয়নি। তিনি ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ১৩১ বস্তা ভিজিএফ চাল বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উত্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) অবহিত করেন।

খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইউপি কার্যালয়ের গুদাম ১০২ বস্তা চাল সহ সিলগালা করে রাখেন এবং বিষয়টি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। গত শনিবার এই প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে দুটি কক্ষ ছাড়া বাকিগুলো সিলগালা অবস্থায় দেখতে পায়।

ইউপি সচিব মো. মাহবুব আলম জানান, তিনি নিয়ম মেনে চাল বিতরণের সময় ইউপি চেয়ারম্যান অহেতুক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে তা বন্ধ করে দেন।

এবিষয়ে জানতে চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে ও ট্যাগ অফিসারকে না জানিয়ে ইউপি সচিব, ইউপি সদস্য মুজিবুরকে নিয়ে ১৩১ বস্তা ভিজিএফ চাল বিতরণ করেছেন। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ইউএনওকে অবহিত করেছি।’

ইউএনও মো. এরশাদ উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে ময়মনিসংহ জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যেভাবে নির্দেশনা আসবে, সেভাবেই কাজ করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close