রংপুর ব্যুরো

  ০৭ আগস্ট, ২০২০

পীরগাছায় পাটের বাম্পার ফলন কাক্সিক্ষত মূল্যের আশা চাষির

রংপুরের পীরগাছায় কৃষকদের বাড়ছে পাট চাষে আগ্রহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টর জমিতে ১ দশমিক ৯ টন পাট উৎপন্ন হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার পাটের কাক্সিক্ষত মূল্য পাওয়ার আশা করছেন চাষিরা। বর্তমানে পাট কাটা ও আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানা যায়, চলতি বছরে ৪০০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে ২ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় খেত থেকে পাট কাটা হচ্ছে। কোথাও মাঠ থেকে কাটা পাট অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কোথাও চলছে পাট পচানোর (জাগ দেওয়া) প্রস্তুতি। আবার পচানো পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ করতে দেখা গেছে কৃষক পরিবারের সদস্যদের।

পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও কৃষকরা পাট চাষ করে লোকসানে পড়েছিলেন। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। স্বল্প পরিসরে যারা আবাদ ধরে রেখেছিলেন, তারাই এ বছর লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখে অন্যরা এবার পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বর্তমানে কৃষকরা খুব সহজে ও ভালো দামে পাট বিক্রি করতে পারছেন।

উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন এবার তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি জানান, পাটের আবাদ বেড়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে।

পীরগাছার পাট ব্যবসায়ী আঙ্গুর মিয়া প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এখন পর্যন্ত সঠিক মূল্য পাচ্ছেন চাষিরা। এ বছর ঘন বৃষ্টি ও বন্যা হওয়ায় পাটের উৎপাদন তেমনটি হয়নি। এ জন্য তারা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পাটচাষিরা এবার সঠিক মূল্য পাবেন। আমরাও সরকারের কাছে সঠিক মূল্যে পাট বিক্রয় করতে পারব বলে আশা করি। দেবী চৌধুরাণীর হাটের পাইকারি পাট ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন। তিনি জানান, হাটে প্রচুর পাট আসতে শুরু করেছে। বাজারদরও ভালো। কৃষকরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পীরগাছা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পাট উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরো বাড়বে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close