কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ১৬ জুলাই, ২০২০

কমলগঞ্জে শ্মশানঘাট দখল চেষ্টার অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের পালজোয়ান মৌজার পালগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্মশানঘাট দখলের অভিযোগ উঠেছে। তবে পুরো জায়গা শ্মশানঘাট নয় বলে দাবি করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

পালগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, পালজোয়ান মৌজার পালগাঁও গ্রামের এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ৮৪ শতক ভূমিতে প্রাচীন শ্মশানঘাট বিদ্যমান। ২০০ বছর ধরে পূর্বপুরুষদের ব্যবহৃত শ্মশানঘাটটি বর্তমানে স্থানীয় একটি মহল দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে শ্মশানঘাটের পুরো জমি বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হলেও প্রতিপক্ষের লোকরা কিছু অংশ তাদের নিজেদের দখলে নেওয়ার নানা পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পালগাঁও গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরিপদ দেবনাথ, চিত্তরঞ্জন দেবনাথ, শিক্ষক তপন কুমার দাস, সমাজকর্মী হরিপদ দাস, রঞ্জিত বিশ্বাস, দিলীপ শীল, বিনয় মালাকার, বলাই দেব কানুনঙ্গ, নিধু ভূষণ দাস, নিত্যানন্দ দেবনাথসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী বলেন, পালগাঁও গ্রামের শ্মশানটি অত্র এলাকার শতাধিক হিন্দু পরিবারের শেষকৃত্য, সমাধি করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানঘাটটি ব্যবহার করে আসছেন। এক পর্যায়ে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে ১৯৮৬ সনে মৌলভীবাজার মুন্সেফী দ্বিতীয় আদালতে মামলায় ৮৪ শতক ভূমি শ্মশানঘাটের জন্য আদালত রায় প্রদান করেন।

তারা আরো বলেন, সম্প্রতি গ্রামের ইছাহাক মিয়া, মজিদ মিয়া, বশির মিয়া, জামাল মিয়া, কদ্দুস মিয়া গং ব্যক্তিরা শ্মশানঘাটের কিছু জমি কবরস্থানের জন্য দিতে হবে বলে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যথায় দাঙ্গা-হাঙ্গামারও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে দুই দফা সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকরা তাদের রেকর্ড করা শ্মশানের ভূমি থেকে কবরস্থানের জন্য জমি দিতে রাজি হননি। তারা বলেন, কাগজপত্রে ৮৪ শতক ভূমি থাকলেও বাস্তবে খিরনী নদীভাঙনে বেশ কিছু ভূমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে পালগাঁও গ্রামের জামাল মিয়া বলেন, মূলত এই ভূমি জমিদারি। এখানে দীর্ঘদিন ধরে গোচারন ভূমি ছিল। সম্প্রতি সময়ে কিছু স্থানে হিন্দু লোকজন সমাধি বা শেষকৃত্য করে আসছেন। কাগজপত্র বা রেকর্ডে এই ভূমি লায়েক পতিত। তাই আমরা এই ভূমি কবরস্থানের জন্য ব্যবহারের চেষ্টা করছি। তবে সামাজিকভাবে বিষয়টির সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close