কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১২ জুলাই, ২০২০

লকডাউন উঠল কক্সবাজারের পর্যটকদের অপেক্ষায় সৈকত

রেস্টুরেন্টসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে ব্যবসায়ীরা

করোনায় পর্যটক শূন্য হয়ে পড়া পর্যটননগরী কক্সবাজারে আজ থেকে শুরু হচ্ছে কর্মব্যস্ততা। পর্যটকদের পদভারে সৈকত আবারো মুখরিত হবে এমন প্রত্যাশায় জেগে উঠছে সাড়ে চারশতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস। তিন শতাধিক রেস্টুরেন্ট সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে শনিবার বিকালে ঈদুল আযহা পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকবে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।

দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষিত লকডাউনের সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সমন্বয়ক এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার। আজ রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস-দফতর এবং হোটেল-মোটেলসহ সবধরণের সংস্থা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, লকডাউন ও সাধারণ ছুটির মেয়াদকাল শেষ হলেও সর্বসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ নিয়ে কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া রাজনৈতিক সভা-সমাবেশসহ প্রকাশ্য যে কোন ধরণের গণজমায়েত করার পূর্বে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের কাছে অবহিত করে আয়োজন করতে।

সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় গত ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত প্রশাসন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষণা করে। পরে চকরিয়া, পৌর এলাকা, টেকনাফ পৌর এলাকা এবং উখিয়ার সদর, কোটবাজার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং স্টেশনসহ জেলার ৯টি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়। পরবর্তীতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গত ২৪ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিসহ সবধরণের অফিস-দপ্তর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।

গত সাড়ে তিনমাস কক্সবাজারে লকডাউন চলার কারণে পর্যটন শিল্পসহ সব ধরনে ব্যবসায় চরম ক্ষতি হয়েছে। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে কক্সবাজারে পর্যটন সংশ্লিষ্ট, ক্ষুদ্র ,মাঝারি, বড় সব মিলে গত সাড়ে ৩ মাসে ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনার আওতায় আনা, ব্যাংক ঋণ মওকুফ সহ নানা প্রস্তাবনা সহকারে এফবিসিসিআইকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস। এই ব্যবসায়ীদের মতে, শুধুমাত্র হোটেল-মোটেল আর রেস্টুরেন্টেই গত সাড়ে তিন মাসে ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। এর মাঝে এ শিল্পের উদ্যোক্তারা পায়নি কোন প্রণোদনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close