রংপুরের পীরগাছায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাই খলিলুর রহমান (৬৫) নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হত্যায় জড়িত ছোট ভাই এন্তাজ আলীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। পরে এন্তাজ আলী গতকাল শনিবার বিকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ছকিনা বেগম ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। মামলায় নিরীহ গ্রামবাসীকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

জানা গেছে, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিমদেবু (আমডারা) গ্রামের আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। তার প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকা অবস্থায় ছোট মেয়ে প্রতিবেশির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি গ্রামবাসী তাদের দু’জনকে আটক করে শালিসের মাধ্যমে বিয়ে দেন। এ বিয়ে বড় ভাই খলিলুর রহমান ও তার স্ত্রী ছকিনা বেগম মেনে নিতে না পেরে উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধনে ছোট ভাই এন্তাজ আলী তার স্ত্রী রুজিনা বেগমকে নিয়ে গ্রামে আসেন। ঘটনার দিন গত বুধবার রাতে দুই ভাইয়ের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে বড় ভাই খলিলুর রহমান ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মারপিট করতে থাকলে ছোট ভাই এন্তাজ আলী লাঠি দিয়ে বড় ভাইয়ের মাথা আঘাত করে।

পরে এলাকাবাসী আহত খলিলুর রহমানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে গত শুক্রবার বিকালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ঘাতক ছোট ভাই হত্যার কথা স্বীকার করেছে। অন্য আসামিরা জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।

"