তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
তাড়াশে খানাখন্দে ভরা সড়কে ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ-বারুহাস সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। ১০ কিলোমিটার পাকা সড়কের প্রায় ২৫-৩০টি স্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন তাড়াশ ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১২ গ্রামের প্রায় ৩০-৫০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
এই সড়কটি উপজেলার তাড়াশ-বারুহাস জেলা-উপজেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র পথ। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে উৎপাদিত কৃষিপণ্য উপজেলা সদরে সরবরাহ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন চলবিল অধ্যুষিত এই অঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক।
জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নির্মিত সড়কটিতে এসব গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কটির চৌবাড়িয়া, বিনীতপুর, সরাবাড়ি, হেদারখালসহ প্রায় ২৫-৩০টি জায়গায় কার্পেটিং সম্পূর্ণ উঠে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে জমে থাকে পানি। আর পানি শুকালেই কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। সড়কটির বিনোদপুর বাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। কৃষক ধান, গম ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল জেলা ও উপজেলা সদরে সরবরাহ করেন এ রাস্তা দিয়েই। তবে সড়কের চৌবাড়িয়া এলাকায় বিশাল গর্তের কারনে শষ্য নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বারুহাস গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, রাস্তার এ অবস্থার জন্য প্রতিদিনই ছোটখাটো কিছু দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন ও জনগণ। চলাচলের এতোটাই অনুপযুক্ত যে বড় গাড়িগুলো রাস্তার ওপাশ থেকেই যাত্রী নামিয়ে দেয়, গাড়ি বাজারে আসতে পারে না। তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিঞা বলেন, তাড়াশ-বারুহাস সড়কটি সার্ভে করা হয়েছে। দ্রুত টেন্ডার হচ্ছে এবং তাড়াশ-কুন্দইল সড়কের তাড়াশ থেকে দিঘী সগুনা পর্যন্ত সংস্কার কাজেরও টেন্ডার হবে বলে জানান তিনি।
"