জালাল উদ্দিন হাককানী, মহম্মদপুর (মাগুরা)

  ১০ জুলাই, ২০২০

মহম্মদপুরে ‘কুক্ষিগত’ সমবায় সমিতির সম্পদ, সদস্যদের ক্ষোভ

মাগুরার মহম্মদপুর ইউনিয়ন বহুমূখী সমবায় সমিতির সকল সম্পদ এখন বিলুপ্তের পথে। অতীতে প্রথিতযশা এই সমিতির মাধ্যমে সদস্যরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হলেও বর্তমানে কুক্ষিগত হচ্ছে এ সমতির নগদ ও স্থায়ী সম্পদ। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে একাধিক। পরবর্তীতে সমবায় অফিসের ৩ বছর আগে থেকে একাধিক অডিট নোটিশ পেলেও হিসাব বিবরণসহ খাতাপত্র এখনও উপস্থাপন করেননি সমিতির সর্বশেষ কমিটির সদস্যরা।

এদিকে আদালতে ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইফতেকার রশিদ (আলম) এর বিরুদ্ধে সভাপতি জহুরুল হকের একাধিক মামলায় আত্মসাতের পরিমান নিয়ে তৈরী হয়েছে বিরোধ। এতে একদিকে সমবায় আইন ও বিধিমালা পরিপন্থি পরিচালিত হচ্ছে ওই সমিতি, অন্যদিকে আদালতে অর্থ আত্মসাতের মামলা সুরাহার কোন লক্ষন পাচ্ছেনা সদস্যরা। যার দরুণ সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নতো দূরের কথা প্রথিতযশা ওই সমিতির সম্পদ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সমিতির নিরিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারি পরিদর্শক রুহুল কুদ্দুস তার ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে জানান, মহম্মদপুর ইউনিয়ন বহুমূখী সমবায় সমিতি ১৯৫০ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এই সমিতির ৩০ শতাংশ জমি এবং তার উপর অনেক দোকান স্থাপনাও নির্মিত হয়েছে। যার জমি, গৃহ ও গেটের মূল্য ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৮ টাকা, নির্মিত দোকান ঘরের মূল্য ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৫ টাকা এবং অন্যান্য সম্পদ রয়েছে ৩৬ হাজার ৫৬৪ টাকার। নির্মিত দোকান ভাড়ার অগ্রীম নেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকা। যার ঘর ভাড়া আসে ২৬ হাজার ২ টাকা। এছাড়াও এই সমিতির অনেক আয় রয়েছে।

সর্বশেষ কমিটির সভাপতি জহুরুল হক বলেন, সাধারণ সম্পাদক ইফতেকার রশিদ (আলম) সমিতির নিজস্ব মার্কেটের ঘর বরাদ্দ বাবাদ অগ্রীম চুক্তি সম্পাদন করে চুক্তিনামা দলিলের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে ঘরভাড়া বাবদ ৬ লাখ ২২ হাজার ৩২২ টাকাসহ সমিতির সর্বমোট ৯ লাখ ২০ হাজার ৭২২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সাধারণ সম্পাদক ইফতেকার রশিদ (আলম) বলেন, ২০১৬ সালের সরকারি অডিটে দেখা গেছে আমার কাছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৩২২ টাকা হস্তমজুদ রয়েছে। আমি তার মধ্যে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকাও দিয়ে দেবো। কিন্তু এর বাইরে মৌনক্তিক যে টাকা বলা হয়েছে তা আমি দেবো না।

উপজেলা সমবায় অফিসার মো. তৈয়েবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া ৩ বছর আগে কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সমিতি পরিচালনায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে একটি অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্য প্রস্তাবের অনুরোধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ সমিতির ব্যাপারে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বসেছিলাম। এর সুরাহার জন্য চেষ্টা চলছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close