ঝালকাঠি প্রতিনিধি

  ০৫ জুলাই, ২০২০

ঝালকাঠিতে কৃত্রিম প্রজননের ৪০ ভাগই বিফল

ঝালকাঠিতে অনুর্বর স্পার্ম ব্যবহারে কৃত্রিমভাবে গাভী প্রজনের কারণে শতকরা ৪০ ভাগ প্রজননেই বিফল যাচ্ছে। এতে বিস্তর টাকা গচ্চা যাচ্ছে কৃষকের।

ঝালকাঠি শহরতলীর রামনগর এলাকার কৃষক বৃদ্ধ হারুন অর রশিদের গোয়ালে ১ বলদ ও ৪টি গাভী। ‘বড় গাভীটার ডাক (ঋতুগ্রস্থ) আসায় পর প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে ডাক্তার এনে কৃত্রিম প্রজনন করাই। এভাবে একে একে ৪ বার প্রজননের পরও কাজ না হওয়ায় প্রাকৃতিক প্রজনন করাই। এখন সেটি গাভীন (গর্ভবতি) হয়েছে।’ একই ঘটনা ঘটেছে তার আরেগ গাভীর ক্ষেত্রে। একই এলাকার সরকারী কর্মজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার একটি গাভীর ৩ বার কৃত্রিম প্রজনন করা হলেও তা সফল হয়নি।

জেলার উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (প্রাণিস্বাস্থ্য) মু. জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গাভী ঋতুগ্রস্থ হওয়ার ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে কৃত্রিম প্রজননের ইনজেকশন পুশ করতে হয়। অনেক সময় মালিকও বুঝে না কখন ঋতুগ্রস্থ হয়। ডাক আসার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরে কৃত্রিম প্রজননের ইনজেকশন দিলে তাতে সুফল হয় না। গাভীর দেহ রোগাক্রান্ত না হলে প্রথমবারে সঠিক সময়ে কৃত্রিম প্রজননে কনসেপ্ট (গর্ভবতি) হবে। সুস্থ্য গাভীর প্রজনন বিফল হলে ১৮ থেকে ২৪ দিনের মধ্যে পুনরায় ডাক আসবে। রোগাক্রান্ত হলে ডাক আসবে না।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ ছাহেব আলী জানান, ‘যথাসময়ে এবং যথাস্থানে কৃত্রিম প্রজননের ইনজেকশন পুশ না করা। গাভীর দেহে প্রজনন উপাদানে কোয়ালিটি না থাকা, হরমোন ঘাটতি এবং গাভী কৃমি আক্রান্ত থাকলে। কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে অনুর্বর স্পার্ম (পুষ্টিহীন বীর্যকণা) ব্যবহার এবং গাভীর মাতৃত্বজনিত সমস্যা থাকলে কৃত্রিম প্রজননে সুফল পাওয়া যায় না। এজন্য শতকরা ৬০ ভাগ কৃত্রিম প্রজনন কার্যকরী হয় এবং ৪০ ভাগ বিফলে যায়।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close