তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৪ জুন, ২০২০

তাড়াশে জমে উঠেছে তাল শাঁসের কদর

প্রচন্ড এই গরমে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বিভিন্ন হাটবাজারে জমে উঠেছে তাল শাঁসের কদর। সেই সাথে বিক্রির ধুম। স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কাঝে প্রিয় হয়ে উঠেছে এ ফল।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জৈষ্ঠ্যের ভ্যাপসা গরমে শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এ ফলটি।

কলেজছাত্র পার্থ ঘোষ বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে, তখনো খাওয়া যায়, তখন বাজারে এটি পানি-তাল হিসেবেই বিক্রি হয়। কেউ বলে তালশাঁস আবার কেউ বলে তালের চোখ, কেউ বলে তালকোরা।

যে যেই নামে চিনুক বা জানুক এটি মৌসুমি ফল। মধুমাস জৈষ্ঠ্যতে বিভিন্ন ফলের সঙ্গে এই ফলেরও কদর বাড়ে। খেতে সুস্বাদু ফলটি রাস্তার মোড়ে, ফুটপাতে কিংবা হাট-বাজারে এ সময়টায় দেদারছে বিক্রি হয়। অনেকে বিক্রির জন্য এই কচি তাল বাজারে তুলেছেন। বিক্রেতারা হাঁসুয়া বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করছেন।

উপজেলার সদরের কলেজগেটে তাল শাঁস বিক্রেতা হোসেন আলী জানান, প্রতিটি তাল ১০ থেকে ১৫ টাকায় বেচাকেনা হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি দাম ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা। সে হিসাবে প্রতি গাছের তাল দেড় হাজার টাকা থেকে দুই টাকা করে বিক্রি হয়।

প্রবীন ব্যক্তি শাহ আলম জানান, বাজারে আসা অসংখ্য ফলের চেয়ে তাল শাঁসের বৈশিষ্ট্য আলাদা। একটি তালে ২-৩টি বীজ বা আঁটি থাকে। পরিপক্ব হওয়ার আগে সুস্বাদু তালশাঁস তুলতুলে নরম থাকে। মূলত তালের ভেতরে নরম তুলতুলে শাঁসই তালকোরা বা তালশাঁস। এটি ঠা-া ও মিষ্টি জাতীয় সুস্বাদু খাবার। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয়। গরমের দিনে পিপাসা কাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় তালের শাঁস। তালের শাঁস শরীর শীতল করার একটি অতি সুস্বাদু উপকরণ।

তাল বিক্রেতা মহরম আলী বলেন, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবার কাছে প্রিয় তালের শাঁস। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বশেই অনেকে এটি খায়। দামেও বেশ সস্তা। তাই বাজারে এর কদরও বেশি। পাড়া মহল্লায় ভ্যানে নিয়ে ফেরি করে তিনি এ তাল শাঁস বিক্রি করেন বলে জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close