ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদরে পৌরসভার বাণিজ্যিক ইমারতের নকশা অনুমোদনের পরও বাঁধার ফলে আটকে আছে সমবায়ের মার্কেট পুন:নির্মাণের কাজ। নিজস্ব জায়গায় পুরাতন টিনকাঠের দোকান ভেঙে পাকা মার্কেট নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়েন তারা। নিকটস্থ কলেজ অধ্যক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্মাণ বন্ধ করেন স্থানীয় এমপি। এতে বিপাকে পড়েছেন পূর্বের আধুনিক সমবায়ের মার্কেটর ব্যবসায়িরা।

ভুক্তভোগি ব্যবসায়ি ও সমবায় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নবীনগর পৌরসভায় পুরাতন জরাজীর্ণ ৪টি দোকান ভেঙে ৮ দোকানের দ্বিতল মার্কেট নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর পৌরসভা থেকে বাণিজ্যিক ইমারতের নকশা অনুমোদন নেয় সমবায় কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালের প্রথম দিকে কাজ শুরু হলেও করোনার বিস্তারের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে তারা। এই সুযোগে ওই স্থানে মার্কেটের নির্মাণে বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি পক্ষ। এমন অভিযোগ নবীনগর কেন্দ্রীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম সরকারের।

এদিকে নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেনের অভিযোগ, সমবায় মার্কেটের পুরনো অংশ ভেঙে নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করলে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথ সরু হয়ে যাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

সমবায় সমিতির সভাপতি নূরুল ইসলাম সরকার বলেন, কলেজের রাস্তাটি সমবায়ের মালিকানা জায়গা থেকে দেওয়া। প্রবেশ মুখে ১৬ ফুট, আর কলেজের সামনে রয়েছে মাত্র ১০ ফুট। অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি, পাশাপাশি এমপি মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি, তিনি বিস্তারিত দেখে সিদ্ধান্ত দিবেন।

নবীনগর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শিব শংকর দাস জানান, মার্কেট সম্প্রসারণে পৌর আইনের কোন ব্যতয় ঘটেনি। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম এম এসসি, পৌর আ.লীগের সভাপতি বোরহানউদ্দিন আহমেদসহ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ আমার উপস্থিতিতেই সার্ভেয়ার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন।

ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম বলেন, এখানে উপজেলা প্রশাসনের কিছু করার নাই, উনারা যদি মনে করেন বিষয়টি নিয়ে বসতে পারেন।

"