ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০২ জুন, ২০২০

ভূরুঙ্গামারীতে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিলুপ্তির পথে কাউন চাষ। এক সময় উপজেলার দশটি ইউনিয়নের গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক চাষ হলেও বর্তমানে কাউন চাষে কৃষকের আগ্রহ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন।

স্বল্প খরচ, সহজ চাষ পদ্ধতি ও সেচ সাশ্রয়ী হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দফতরের সঠিক তদারকির অভাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে। এমনকি উপজেলায় কাউন চাষের কোন তথ্য নেই কৃষি কর্মকর্তার দফতরে।

জানা গেছে, হরেক রকমের পিঠা, খীর, পায়েস, খিচুড়ি, মলাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি হতো কাউন থেকে। চৈত্র মাসে ঝুরঝুরে মাটিতে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে ফসল ঘরে ওঠে। কোন সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২ মণ। কাউনের শীষ সংগ্রহের পর গাছের বাকি অংশ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল বলেন, এক সময় গ্রামের সবাই মরিচ, আলু, সাকসবজির ফাঁকে কাউন চাষ করতো। সেই কাউন বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাতাম। এখন কাউন চাষ আর দেখা যায় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, কাউন এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাছাড়া ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা কাউন চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় কৃষি অফিসে এ বিষয়ে তথ্য নেই বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close