খুলনা প্রতিনিধি

  ১৪ এপ্রিল, ২০২০

খুলনায় ওএমএসের চাল বিক্রিতে মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব

করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালীন সময়ে খুলনার খোলা বাজারে ১০ টাকা দরের চাল বিক্রির সময় কোনোভাবেই ক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্দেশনা লঙ্ঘিত হচ্ছে বিক্রয় স্থলে। খাদ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, অনেক চেষ্টা ও পুলিশের সাহায্যের পরেও না পেরে উঠায় কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনায় অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় খুলনা মহানগরী ও জেলায় নিম্নআয়ের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া শুরু করে খুলনা খাদ্য বিভাগ। এ সংক্রান্ত নীতিমালা ২ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়। জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যসহ কর্মহীনদের এই চাল ক্রয়ের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। খুলনায় প্রতিটি কেন্দ্রে দুই টন করে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহের এই তিন দিন মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১০টি পয়েন্টে এই চাল বিক্রয় করা হয়। ১০ টাকার চাল বিক্রয়ের নীতিমালা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ রয়েছে। গতকাল সোমবার নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী এলাকাসহ মহানগরীর অন্যান্য এলাকায় এ চাল বিক্রয় করা হয়।

খালিশপুরে ১০ টাকার চাল কিনতে আসা রিকশাচালক আবদুস সামাদ বলেন, সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। যে যার মতো লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিচ্ছে। কেউ কারো কথা শোনে না।

খুলনা মহানগর খাদ্য পরিদর্শক ইন্দ্রজিত সরকার বলেন, বিক্রয়ের স্থলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের সাহায্য নিয়ে সকল কাজ করা হয়। তার পরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close