বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১২ এপ্রিল, ২০২০

বাউফলে বিপাকে ১৫ হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার

পটুয়াখালীর বাউফলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৫ হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার বিপাকে পড়েছে। ঘরবন্দি এসব পরিবার পারছে না তাদের অভাবের কথা প্রকাশ করতে। লোকলজ্জায় নিচ্ছে না লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ সহায়তা।

জানা গেছে, উপজেলায় সরকারিভাবে দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচি থাকলেও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।

বাউফল উপজেলায় ১৫০টি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে রয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার পরিবার। বর্তমানে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ হাজার দিনমজুরের তালিকা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষিজমির মালিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, গ্রাম পুলিশ, পল্লী চিকিসক, উদ্যোক্তা, ধর্মীয় নেতা, সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী।

বাউফল সরকারি কলেজের অধ্যাপক শিখা ব্যানার্জী বলেন, রাষ্ট্রীয় দুর্যোগকালীন সময় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার। নানা বাধা অতিক্রম করে কম-বেশি দিনমজুর কাজ করে সাধারণ জীবনযাপন করে থাকে। অথচ মধ্যবিত্ত পরিবার পারে না আইন ভঙ্গ করতে। না পারে লাঙ্গল কিংবা রিকশা হ্যান্ডেল ধরতে। পারছে না ত্রাণ সহায়তার জন্য হাত পাততে।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কামারুজ্জামান মিয়া (কালাচান) বলেন, দুর্যোগকালীন সময় দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ভেদাভেদ রাখা উচিত না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংবাদিক জানান, সমাজের সাধারণ দরিদ্র মানুষের কথা লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরলেও সাংবাদিকের আর্থিক অবস্থা কেউ তুলে ধরে না। গোসিংগা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুচ মোল্লা জানান, নিজস্ব চাষাবাদের জমি নেই। ত্রাণসামগ্রী পাওয়ার অধিকার থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান মেম্বারের নিকট বলতে পারি না!

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close