করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে বিপাকে পরেছেন পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নির্মাণশ্রমিকরা। উপজেলা লকডাউন ও সকল প্রকার কাজকর্ম বন্ধ থাকায় অনাহারে ঘরে বসে দিন পার করছেন সিংহভাগ নির্মাণশ্রমিকদের পরিবার।

জানা গেছে, উপজেলায় ৪ হাজারের অধিক নির্মাণশ্রমিক রয়েছে। এসব শ্রমিকদের মধ্যে কেউ ভবন নির্মাণ, ঘর নির্মাণ ও রং মিস্ত্রীসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজ করেন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এদের মধ্যে সিংহভাগ নির্মাণশ্রমিক দিন আনেন দিন খান। এক দিন কাজ না করলে চুলায় আগুন জলে না তাদের। প্রশাসনের ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যেতে পারছেন না। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত অধিকাংশ শ্রমিক। এখন পর্যন্ত উপজেলায় সরকারি ও সামাজিক সংগঠনগুলো যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন তা পৌঁছায়নি বেশির ভাগ নির্মাণশ্রমিকের কাছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

জাকির নামে এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, তিনি সরকারের ঘোষণা পর কাজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। নতুন করে কোনো কাজ পাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি যে ভবনের নির্মাণকাজ করতেন তাও বন্ধ হয়ে গেছে। তার ছয় সদস্যর পরিবার। এক দিন কাজে না গেলে না খেয়ে থাকতে হয়। তিনিই তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। আয় না থাকায় এখন খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। শুধু জাকির নয়। তার মতো শত শত জাকির না খেয়ে দিন গুনছেন।

বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণশ্রমিক ইউনিয়নের (ইনসাব) দশমিনা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আনিচু রহমান মোল্লা বলেন, নির্মাণশ্রমিকরা করোনা পরিস্থতিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অসহায় হয়ে পরেছেন তাদের পরিবার। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে যাচাই-বাছাই প্রকৃত শ্রমিকদের ত্রাণ সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন এই শ্রমিক নেতা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্র্বাহী অফিসার মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, সরকারি যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তা শেষের দিকে। নতুন করে বরাদ্দ পেলে স্থানীয় শ্রমিক নেতাদরে সঙ্গে কথা বলে যাচাই-বাছাই করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।

"