মাগুরা প্রতিনিধি

  ০৫ এপ্রিল, ২০২০

পরকীয়া সম্পর্কের জের

বিদেশফেরত স্বামীর আস্থা ফেরাতে যুবককে গলা কেটে হত্যা

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের চরমহেশপুর গ্রামে বাড়ির আঙিনা খুঁড়ে পিকুল হোসেন (৩৮) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের কাজী মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ির আঙিনা খুঁড়ে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পিকুল হোসেনকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিকুল হোসেন উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের চৌগাছি গ্রামের উকিল বিশ্বাসের ছেলে।

নিহত পিকুলের ভাই দিপুল হোসেন জানান, গত ২ মার্চ বিদেশগামী এক বন্ধুকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন পিকুল। সেখান থেকে ওই দিন রাতে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুরে বোনের বাসায় যান। পরদিন তিনি গাজীপুর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। সেদিন থেকেই তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীপুর থানায় বিষয়টি জানালে তাদের গাজীপুরে মামলা করতে বলা হয়। পরে ৭ মার্চ গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ সূত্র আরো জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ পিকুল হোসেনের মুঠোফোনের কললিস্ট বের করে পুলিশ। সেখানে দেখা যায় মুঠোফোন বন্ধ হওয়ার আগে এক নারীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন পিকুল।

শ্রীপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে কাজী মোশাররফ হোসেন তিন বছর আগে কাতারপ্রবাসী ছিলেন। এই সুযোগে তার স্ত্রী রাজীয়া সুলতানার সঙ্গে পিকুল হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। গত ৩ মার্চ স্বামীর আস্থা অর্জনের জন্য রাজিয়া পিকুলকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর স্বামী স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় পিকুলকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে রক্ত মাখা কাপড়সহ উঠানে টিউবওয়েলের পাশে একটি গর্তে মাটি চাপা দেয় তারা। গত শুক্রবার রাত দেড়টায় সেখান থেকেই পিকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পত্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close