কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ২৬ মার্চ, ২০২০

কমলগঞ্জ হাসপাতাল

রেইনকোট পরে চিকিৎসা!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২৫ দিনেও ডাক্তার ও নার্সরাদের জন্য পৌঁছায়নি সরকারি পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। ফলে সুরক্ষার জন্য বাজার থেকে রেইনকোট কিনে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। আউটডোরে চিকিৎসা দিচ্ছেন আগত রোগীদের। এদিকে কোনো সুরক্ষা ড্রেস ছাড়াই দায়িত্ব পালন করছেন নার্সরা।

গত সোমবার মৌলভীবাজার এমভি হতে নিজ খরচে রেইনকোট কিনেন ডাক্তাররা। জানা যায়, সরকারি নির্দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য পুরাতন ভবনের মহিলা কেভিনে আইসোলেশন কক্ষ তৈরি করে ২০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসা প্রদানের জন্য এখনো পর্যন্ত করোনা শনাক্ত করার কোনো কিট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেনি। ফলে করোনা শনাক্তের কোনো উপায় নেই। একই সঙ্গে এখনও হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের কোনো পিপিই সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে যায়, হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি রোগী এলে ডাক্তার ও নার্সরা আতঙ্কের মধ্যে চিকিৎসা প্রদান করছেন। এমন অবস্থায় সরকারের সুরক্ষা ড্রেস এর জন্য অপেক্ষা না করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ৮জন ডাক্তার নিজ খরচে স্থানীয় বাজার হতে রেইনকোর্ট কিনেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার দুুপুরে রেইনকোট পরিহিত অবস্থায় হাসপাতালে আউটডোরে আগত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন ডাক্তাররা। অপর দিকে নার্স ও ষ্টাফরা ড্রেসবিহীন অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভুইয়া বলেন, আসলে সরকারে সুরক্ষা ড্রেস এখনো আসেনি। তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিজেরাই রেইনকোট ক্রয় করে চিকিৎসা প্রদান করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close