মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সেচ সংকটের প্রায় ৬০০ একর জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ২ দশকেও সদর ইউপির বালিয়াছড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুইচ গেইট নির্মাণ না করায় চলতি বোরো মৌসুমে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জ সদর ইউপির বালিয়াছড়ার তীরবর্তী উত্তর বালিগাঁও, পশ্চিম কুমড়াকাপন, রাসটিলা, কান্দিগাঁও, বনগাঁও গ্রামের কৃষকেরা প্রতিবছর বালিয়া ছড়ায় মাটি দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে বোরোধানের জমিতে সেচ সুবিধা নিয়ে আসছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ওই নদীতে আবারো বাঁধ নির্মাণ করেন।

কৃষক রবি দত্ত ও সেলিম মিয়া জানান, ‘প্রায় ২ দশক পূর্বে ছড়ার উপর ১টি সুইস গেইট নির্মিত হলেও তা পরিকল্পিত না হওয়ায় তা কৃষকদের কোন কাজে আসেনি। পাহাড়ের পাদদেশে ছড়ার উৎস মুখে কৃষিজমিহীন স্থানে এই অপরিকল্পিতভাবে সুইস গেটটি নির্মাণ করা হয়। তাই উত্তর বালিগাঁও এলাকার বালিয়াছড়ায় কৃষকদের জন্য অবিলম্বে নতুন একটি সুইচগেইট নির্মাণ করা হলে কৃষকরা উপকৃত হবে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, নদীতে স্থায়ী সুইচ গেইট নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় কৃষকেরা ১৯৯৮ সালে মৌলভীবাজারের তৎকালীণ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে উত্তর বালিগাঁও প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বালিয়াছড়ার উপর সুইচ গেইট নির্মাণের জন্য লিখিত দাবি জানান। দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্থানে সুইস গেইট নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন, কিন্তু আজো তা বাস্তবায়ন হয়নি।

কমলগঞ্জ সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সোলেমান হুসেন ভূট্টো জানান, কৃষকদের জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে ১ হাজার ৪০টাকায় ধান ক্রয় করছে। তাই কৃষকরা উৎসাহ নিয়ে আবার কৃষি জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন। কিন্তু বালিয়াছড়ায় সুইচগেট নির্মাণ না হওয়াতে প্রতিবছর ইউপির অর্থায়নে এবং স্থানীদের সহযোগিতায় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে বোরো চাষ করা হচ্ছে। এলাকায় একটি সুইস গেইট নির্মিত হলে এলাকার প্রায় ৬০০ একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে এবং কৃষকরা উপকৃত হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, আমি সদর ইউপির বালিয়াছড়া পরিদর্শন করেছি। নতুন একটি সুইচ গেইট নির্মাণের জন্য বিএডিসি, কৃষি প্রকৌশল অধিদফতরসহ অন্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"