আইয়ুব হোসেন খান, মাগুরা

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

৯৫ বছর ধরে কার্যক্রম চলে পুরোনো ভবনে

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের বড় ধরনের রাজস্ব আয়ের উৎস হওয়া সত্ত্বেও অযথা-অবহেলায় ও সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯২৫ সালে শ্রীপুর উপজেলা সদরে মালিকানাধীন জমিতে ইটের গাঁথুনি ও টিনশেডে ছোট্ট একটি ঘরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। অফিস প্রতিষ্ঠানটি ৯৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এর ভাগ্যের বিন্দুমাত্র কোন পরিবর্তন হয়নি। অফিসটি স্বল্প প্রশস্ত ও নিচু ছাপরা হাওয়ায় গরমের দিন সাব-রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসের কাজকর্ম করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই পুরনো টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই অফিসের রেকর্ড রুমে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা রাখা হয় না। দেশের প্রতিটি সরকারি দপ্তরের ভবনগুলোকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হলেও এ প্রতিষ্ঠানের গায়ে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি।

সম্প্রতি নিজ উদ্যোগে টিনশেড অফিস কক্ষের ছাউনিতে প্লাাস্টিকের তৈরি ওয়াটার প্রুফ ত্রিফল প্রতিস্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিশ্রাম ও বসবাসের জন্য আবাসন, মানসম্মত টয়লেট এবং বাথরুমের কোন সুব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সমস্যার বিষয়গুলো বিবেচনা করে সরকার ২০০৮ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নামে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করেন। কিন্তু ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও আদালতে মামলা থাকায় নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। মামলা জটিলতায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ভবন নির্মাণকাজ ঝুলে রয়েছে। এ অবস্থায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে স্বপন কুমার দে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে সমস্যার মোকাবেলা করেই অন্য কর্মকর্তাদের মতো আমাকেও সরকারি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে নতুন ভবন নির্মিত হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close