বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

  ২২ জানুয়ারি, ২০২০

ফরিদপুরের বোয়ালমারী

ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে ইউপি সদস্যের ‘অর্থ আদায়’

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড ও সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বছরের পর বছর এলাকার নিরীহ লোকদের ঘুরাচ্ছে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ঝন্টু বিশ্বাস (৪৮)। ভূক্তভোগিদের সুবিধাও দিচ্ছেন না আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না তিনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য ঝন্টু বিশ্বাস।

অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, শিশু কার্ড করে দেওয়ার জন্য কলিমাঝি গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার নিকট থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, ঘর দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের নাজমুল বিশ্বাসের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন ঝন্টু বিশ্বাস। এভাবে একই গ্রামের হিরু মোল্যার ছেলে ছুরবান মোল্যার নিকট থেকে ৩ হাজার, জামাল মোল্যার ছেলে ছুরবান মোল্যার নিকট থেকে ২ হাজার ৫০০, মো. সামচু শরীফের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০, আকরাম শরীফের নিকট থেকে ২ হাজার, জিন্নাত বেগমের নিকট থেকে ৩ হাজার ৫০০, দেলোয়ারের নিকট থেকে ৩ হাজার ৫০০, মোহাম্মাদ মোল্যার নিকট থেকে ২ হাজার ৫০০, হাসমত মোল্যার নিকট থেকে ৩হাজার টাকা নেন মেম্বার ঝন্টু বিশ্বাস।

ভুক্তভোগি কুদ্দুস মোল্যা বলেন, ‘প্রায় ২ বছর আগে ঝন্টু বিশ্বাস শিশু কার্ড, বয়ষ্ক ভাতা ও সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে এ সকল লোকদের নিকট থেকে টাকা নেন। এখন তিনি টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না এবং ওই সকল সরকারি সুযোগ সুবিধাও দিচ্ছেন না। টাকা চাইতে গেলে উল্টা তিনি হুমকি ধামকি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায়।’

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ঝন্টু বিশ্বাস টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কুদ্দুস মোল্যাদের সঙ্গে গোলমালের বিষয় নিয়ে মামলা চলছে। সে জন্য তাকে হয়রানি করার জন্য কুদ্দুস মোল্যা এসব মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছেন। তবে দুইদিন সময় নিয়েও ঝন্টু বিশ্বাস মামলার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।’

রুপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান আজিজার রহমান মোল্যা বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) নিউজ না করে এলাকায় গিয়ে ঝন্টুকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসেন। তাহলে টাকা ফেরত দিতে পারে। এ বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তার (চেয়ারম্যান) মান-সম্মান নষ্ট হয়।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close