ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় পোস্ট অফিসে ডেকে স্কুলছাত্রী ‘ধর্ষণ’
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সপ্তম শ্রেণি ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা অভিযুক্ত গ্রেফতার
ভোলায় পোশাকের লোভ দেখিয়ে পোস্ট অফিসের কক্ষে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা হাটসংলগ্ন শাখা পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শের আলী অফিসের ডেলিভারি ম্যান।
এদিকে ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগির মা বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শাহজাহান মিয়াকে (২২) আটক করে মঙ্গলবার বিকালে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করেছে। আটককৃত শাহজাহান মিয়া উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটিরচর নওপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে। শাহজাহান পেশায় সবজি বিক্রেতা বলে জানা গেছে।
ভোলা: আক্রান্ত ছাত্রীকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতালে যায় পুলিশ। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয় ও নিযার্তনের শিকার শিশুর মা জানান, প্রতিদিনের মতো গত সোমবার সকালেও ছাত্রী স্কুলে যায়। ক্লাসের ফাঁকে পার্শ্ববর্তী দোকানে চকলেট কিনতে গেলে পোস্টম্যান শের আলী ছাত্রীকে নতুন পোশাকের লোখ দেখিয়ে পোস্ট অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে নিয়ে ধর্ষণসহ শারীরিক নিযার্তন করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি পর্যন্ত দেয় শের আলী। পরে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে মায়ের জিজ্ঞাসার মুখে ঘটনা খুলে বলে শিশুটি। রাতে শিশুর পিতা বাড়ি ফিরলে ঘটনা জানতে পারেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পরামর্শে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তবে জানতে চাইলে জেলা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার ম্যাশল কান্তি ঘোষ জানান, ইলিশা শাখা পোস্ট অফিসে ধর্ষণের ঘটনা জানেন না।
খবর পেয়ে ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন হাসপাতালে ভর্তি ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে যান। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। এদিকে মাত্র ১ সপ্তাহ আগে ভোলার চরফ্যাসনে ও দৌলতখানে পৃথক ২টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ধর্ষণের শিকার সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া কিশোরীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে শাহজাহান মিয়া উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি শাহজাহানের পরিবারকে জানান হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ১০ অক্টোবর বাড়িতে একা পেয়ে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে শাহজাহান। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে চাপের মুখে মেয়েটিকে শাহজাহানদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ছাত্রীর মা বিয়ে নিবন্ধনের চাপ দিলে মেয়ের ওপর অকথ্য নির্যাতন শুরু হয়। পুলিশ নির্যাতিতা কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে শাহজাহান মিয়াকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার খবর নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সজীব ঘোষ বলেন, ভুক্তভোগির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
"