মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস চলাকালিন সময় চিকিৎসক পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত একটি আধুনিক উপজেলা শিবচর। উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অব কাঠামোগত উন্নয়ন হলেও চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন ঘটেনি। দূর-দূরান্ত থেকে সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে এসে ঠিকমত পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা। ঘুরে-ফিরে যেতে হচ্ছে বেসরকারী ক্লিনিকেই। এমন অভিযোগ সাধারন রোগীদের। সরেজমিনে এর সত্যতাও মিলেছে।

গত বুধবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মইনুল ইসলাম নামের এক চিকিৎসককে হাসপাতালে না পেয়ে ফিরে গেছেন বেশ কয়কজন রোগী। পরে ওই সময়েই বেসরকারী একটি ডায়াগস্টিক থেকে তাকে বের হতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি প্রায়ই অফিস সময়ে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন।

বিষয়টির সত্যতা জানতে মইনুল ইসলাম নামের ওই চিকিৎসকের মোবাইলে ফোন দিলে একটি ক্লিনিকের নারী কর্মচারী জানান, ‘স্যার আল্ট্রাসনোগ্রাম করতেছেন। ব্যস্ত আছেন। পরে ফোন দেন।’ পরে দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রুমে বসে আছেন ওই চিকিৎসক। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি ‘হাসপাতালের কাজেই এসেছি’ বলে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যায়। পরে এক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির মোটরসাইকেলে করে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. এমএ মোকাদ্দেস হোসেন শাহীন মুঠোফোনে বলেন, অফিসের সময়ে বাহিরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবস্থান করা এটা একটি ধৃষ্টতামূলক কাজ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, অফিসের সময়ে কেউ অফিসের কোন আদেশ ছাড়া বাহিরের কোন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে পারেন না। যদি কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"