পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ

৪৮ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি শহীদদের স্মৃতি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন বাকী থাকতে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে সর্বশেষ হত্যাকা- চালায় হানাদার বাহিনী। বিজয়ের মাস এলে আজও এলাকাবাসী আজও সেই বিভিষীকাময় স্মৃতি মনে করে বিহ্বল হয়ে পড়েন। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পূর্ণ হলেও শহীদের স্মৃতি রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

’৭১-এর ৬ ডিসেম্বরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার আটিয়াগাঁওয়ের আবুল কাসেমের ছেলে আব্দুস ছাওার বাবুল। প্রতিদিনের সংবাদকে তিনি জানান, ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে পাকহানাদার ও রাজাকাররা তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের ১০-১২টি বাড়িতে।

তিনি বলেন, তখন আমার বাবা মা আমাদেরকে নিয়ে ঘরের ভেতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়েন। পালাতে না পেরে ৩২ নারী-পুরুষ শিশু আশ্রয় নেয় আমাদের একটি মাটির ঘরে। চারদিকে আগুন। এমন সময় মাটির ঘরের দরজা ভেেেঙ হানাদাররা লুকিয়ে থাকা ৩২ জনকে বাড়ির উঠানে দাঁড় করে সারিবদ্ধভাবে। আমার বাবা গর্তের ভেতরই অজ্ঞান হয়ে যান। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে ওঠে। বাড়ির উঠানেই প্রাণ হারায় ৪ মাস বয়সি আয়শাসহ ১৮ নারী-পুরুষ। গুরুত্বর আহত হয় ৬ জন। তারাও স্বাধীনতার পর মারা যান। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও শহীদদের স্মৃতি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে ইউএনও রুমানা ইয়াসমিন মুঠোফোনে বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় গণহত্যার বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি। আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close